চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আহমদের বিধবা স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে ভিটেবাড়ী থেকে উচ্ছে করতে প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। ওইসময় বাড়ির লোকজনকে মারধর করে স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে ইউনিয়নের কুম্বর ঘোনা এলাকায় ঘটেছে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা। এ ঘটনায় পরদিন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার শাশুড় আজিজুল হক বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগে বাদি আজিজুল হক জানান, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমদ তার কন্যা মরিয়ম বেগমের স্বামী হন। স্বামী মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন অসুবিধার কারণে পৈত্রিক দখলীয় জায়গায় কন্যাকে এনে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দিই। উক্ত বাড়িতে পরিবার সদস্যদের নিয়ে তার কন্যা (মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী) বসবাস করে আসছেন।
থানায় দেয়া অভিযোগটিতে বাদি দাবি করেন, পরিবারে পুরুষ সদস্য না থাকার সুযোগে দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়িভিটার জায়গাটি দাবী করে বসে একই ইউনিয়নের কাছিম আলী মিয়াজি পাড়ার মোহাম্মদ আলী, লিয়াকত আলী, হানিফ ও রিদুয়ানসহ একটি চক্র। তারা প্রায় সময় ওই জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে। কয়েক বার পরিবার সদস্যদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর গভীর রাতে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী ভাড়াটে দুর্বৃত্তদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ভিটেবাড়ীতে আক্রমন চালায়। এসময় কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করে ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করে। ঘটনার সময় হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে মারধর করে স্বর্ণালংকার, ধান-চালসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাশাপাশি সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে এ ধরনের পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকলস্থরের নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারটি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: