চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্পর্শকাতর অঙ্গে মরিচের গুড়া ঢুকিয়ে গৃহবধুর ওপর বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় মামলার অভিযুক্ত আসামিরা আদালত থেকে জামিনে এসে ফের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলাটির বাদি ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের পুর্বপাহাড় পাড়া গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে মামলার বাদি মনোয়ারা বেগম দাবি করেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথমবার ও পরদিন দ্বিতীয়বার ১০টাকা দামের চাল ক্রয়ের কার্ড পাওয়া না পাওয়া নিয়ে পাশের বাড়ির কিছু মহিলার সাথে তার কথা কাটাকাটি ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মামলার বাদি দাবি করেন, ঘটনার সময় পাশের বাড়ির মহিলারা তাকে টানা হেচঁড়া করে তুলে নিয়ে শাররীকভাবে বেধম মারধর করে। এরপর শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে মরিচে গুড়া ঢুকিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পরিবার সদস্যরা এগিয়ে এসে প্রতিবেশি লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় গৃহবধু মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ঘটনায় জড়িত ফিরোজ আহমদ, হানিফ, আবু, শাহজাহান, ফাতেমা বেগম ও আয়েশা বেগমকে আসামি করে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা (নম্বর-১০৯০/১৬) দায়ের করেছেন। বর্তমানে মামলার আসামি আবু ও শাহাজাহান জেলহাজতে রয়েছে।
মামলার বাদি মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন, কিছুদিন আগে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন মামলার আসামি ঘটনার মুল নায়ক ফাতেমা বেগম ও তার সহযোগি আয়েশা বেগম। তাঁরা জামিনে এসে এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। অন্যথায় বাড়িতে ঢুকে নতুন করে হামলা, অপহরণ করে হত্যা করবে আবার বসতবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেবে। জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা দাপটের সাথে বলছে মরিচের গুড়া দিয়ে জেলে যেতে হয়নি। এ অবস্থার কারনে বাদি ও তার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন বাদি ও ভিকটিম মনোয়ারা বেগম। এব্যপারে তিনি আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #
পাঠকের মতামত: