কক্সবাজার প্রতিনিধি :::
চকরিয়া উপজেলার হারবাং বাজার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উন্নয়ন ও সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দ দেওয়া তিন টন চাল ভূয়া প্রকল্প কমিটি দাখিল করে আত্মসাত করার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মসজিদ পরিচালনায় থাকা প্রকৃত কমিটি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন ইউএনও।
হারবাং বাজার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান বাদশাসহ কমিটির সংশ্লিষ্ট ১১ জন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, হারবাং বাজার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উন্নয়ন ও সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিশেষ গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর) কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা পরিষদ ও হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ৩টন চাল বরাদ্দ দেয়। কিন্তু মসজিদ পরিচালনা কমিটির অজান্তে মসজিদ পরিচালনার একটি কথিত ভূয়া কমিটি বানিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিল করেন। প্রকৃতপক্ষে ওই ভূয়া কমিটিতে যাদের নাম রয়েছে তারা কোন প্রকল্প কমিটির সভাপতি, সম্পাদক বা কোন সদস্য পদেও নেই। এমনকি তারা এলাকার মসজিদের নিয়মিত মুসল্লীও নন। এর পরেও ভূয়া প্রকল্প কমিটি দাখিল করে মসজিদের উন্নয়ন ও সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ৩টন চাল আত্মসাতের পায়তারা করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিল করা ভূয়া প্রকল্প কমিটির সভাপতি হলেন আওয়ামীলীগ নেতা মিরানুল ইসলাম মিরান, সেক্রেটার হলেন মৌ. আরিফুল ইসলাম, সদস্য যথাক্রমে ফেরদৌস আহমদ, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মো. নেজাম উদ্দিন, জিয়াউদ্দিন ও মো. মানিক উদ্দিন।
এলাকাবাসী জানন, চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ চকরিয়া পিআইও অফিসে যোগদানের পর থেকে অনিয়ম ও দূর্নীতি আশংকাজনকহারে বেড়ে গেছে। চকরিয়া পিআইও অফিসের অধীনে ভুয়া ও নামসর্বস্থ: প্রকল্প দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযো্গ থাকার পরও বহাল তবিয়কে কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মো: আহসান উল্লাহ। নিরপেক্ষ তদন্ত চালাতে শতশত ভুয়া প্রকল্পের তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা মেম্বার ।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ‘দাখিল করা একটি প্রকল্প কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ায় তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি দাখিল করা কমিটি ভূয়া প্রমাণিত হয় তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাঠকের মতামত: