ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন! শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া ::khun

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে পারিবারিক বসতভিটার বিরোধের জেরে ভাই-ভাবীর হাতে নিহত হয়েছেন ছোটভাই। তিনদিন আগে দুই ভাইয়ের পরিবারের মাঝে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় জিয়াবুল করিমকে (৩৪) কুপিয়ে জখম করে বড়ভাই নুরুল আবছার বাবুল। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সোমবার রাত একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যান জিয়াবুল করিম। গতকাল মঙ্গলবার চমেক হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।

নিহত জিয়াবুল করিম ও ঘটনায় অভিযুক্ত হামলাকারী নুরুল আবছার বাবুল পরস্পর ভাই। তাঁরা উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নিহতের স্ত্রী আলমাছ খাতুন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে আসামি করা হয়েছে হামলাকারী ভাই নুরুল আবছার বাবুল, তাঁর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও বাবুলের বাবা শাহাব উদ্দিনকে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বসতভিটার বিরোধে দুই ভাইয়ের মধ্যে হামলার ঘটনায় আহত জিয়াবুলকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তাঁর মৃত্যু ঘটে বলে পরিবার দাবি করেছে। এব্যাপারে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের নুনাছড়ি এলাকার বাড়ি থেকে হাফছা বেগম (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবার সদস্যদের অগোচরে ওই ছাত্রী বাড়ির ভেতর গলায় গামছা পেছিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হাফছা বেগম স্থানীয় মোহাম্মদ ইউনুছের মেয়ে এবং হারবাং বাজারস্থ মাদরাসার অষ্ঠম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

পরিবারের বরাত দিয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁিড়র আইসি (পুলিশ পরিদর্শক) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অভাবগ্রস্থ পরিবার হওয়ায় সঠিক সময়ে ওই ছাত্রীকে নোটবই কিনে দিতে পারেনি বাবা। এ অবস্থায় মা-বাবার সাথে অভিমান করে ওই ছাত্রী কয়েকদিন ধরে বাড়িতে কারো সাথে কথা বলছেনা এবং খাওয়া ধাওয়া ছেঁেড় দেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঘুম থেকে ওই ছাত্রী উঠতে দেরী হওয়ায় পরিবার সদস্যরা ডাকতে যান। পরে কোন ধরণের সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে মুর্মুষ অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবার সদস্যরা। এরপর তাকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, একইদিন দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথা এলাকার একটি মার্কেট থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর হবে। লাশ উদ্ধারের সময় মুখমন্ডলে রক্তের দাগ রয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের ভাষ্যমতে নিহত ব্যক্তি ঘটনাস্থল এলাকায় হাটাঁর সময় সড়কের পাশে পড়ে গিয়ে নিহত হন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ##

পাঠকের মতামত: