ঢাকা,বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই 

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনালে কলার আড়তে কলা কিনতে যাবার পথে ব্যবসায়ীকে মোবাইলে কথা বলার অজুহাতে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে পকেট থেকে লুটে নিয়ে গেছে নগদ দুই লাখ টাকা। সোমবার দুপুর বারোটার দিকে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল এলাকায় ঘটেছে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা।
এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড হালকাকারা এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল এর ছেলে গোলাম কাদের (৫৬) ওইদিন বিকালে চকরিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজন ছিনতাইকারীকে আসামি করে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
আক্রান্ত ব্যবসায়ী গোলাম কাদের গতকাল বুধবার  চকরিয়া প্রেসক্লাবে এসে ছিনতাই ঘটনায় জড়িত চক্রের ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ভিডিও চিত্রটি থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও দিয়েছি। তবে পুলিশ দুইদিনেও এ ঘটনার কোন ক্লু উদঘাটন কিংবা জড়িতদের এখনো সনাক্ত করতে পারেনি।
ভিকটিম গোলাম কাদের থানায় জমা দেওয়া এজাহারে বলেন, তিনি দুইবছর আগে সৌদি আরব থেকে বাড়ি ফিরে হালকাকারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি মুদির দোকান দিয়েছেন। গত সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে চকরিয়া সদরের ঢাকা ব্যাংক তিনি দুই লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরে টাকাগুলো নিয়ে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনালে কলার আড়তে যান দোকানের জন্য কলা কিনতে।
এরইমধ্যে একজন আগের পরিচিত লোক সামনে এগিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি এক মিনিট কথা বলার অজুহাতে ব্যবসায়ী গোলাম কাদের এর কাছ থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি নেন। ফোনে কথা বলতে বলতে লোকটি সামনের দিকে হাঁটা শুরু করে তাঁর পেছনে হেঁটে যান গোলাম কাদের। কিছুদূর যেতেই তার সামনে এসে দাঁড়ান অজ্ঞাত আরও দুইজন।
একপর্যায়ে ওই দুইজন সামনে এগিয়ে এসে ব্যবসায়ী গোলাম কাদেরকে হত্যার ভয় দেখিয়ে বলে, কোন আওয়াজ করবি না, করলে মেরে ফেলবো। এই কথা বলে একজন একটি রুমাল দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর মুখ ঢেকে ধরে, অন্য একজন ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত পকেটে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে চম্পট দেন।
থানায় জমা দেওয়া এজাহারটি তদন্ত করছেন চকরিয়া থানার এসআই পারভেজ মাহমুদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভিকটিমের সঙ্গে দুইজন লোক হেঁটে যাচ্ছে। তবে টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে, এধরণের ফুটেজ ভিডিও চিত্রে নেই। তারপরও সন্দেহভাজন হিসেবে থাকা লোক গুলোকে ধরতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য চকরিয়া থানার ওসি মো.মনজুর কাদের ভূইয়া নিজেও আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: