কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের তরছঘাটায় দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিবারকে জিম্মি করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ভিকটিম ইকবাল হোসেন বলেন, গত পৌর নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনে প্রভাবশালীর পক্ষে ও তাদের কথামতো কাজ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় সময় আমাদের উপর হামলা করে ।
তার ধারাবাহিকতায় গত ২৯শে এপ্রিল রাত ৯টার দিকে সিকদার পাড়া মসজিদের সামনে একা পেয়ে আগে থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী দল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাথি-কিল ঘুষি মেরে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে। পরে খবর পেয়ে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তাদেরকেও সাবেক কমিশনার বশিরুল আয়ুবের নেতৃত্বে ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।এতে আমার মাতা জয়নাব বেগমের মাথা ও শরীরে মারাত্মক আঘাত পায় । খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়,পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়।
বর্তমানে চিকিৎসকদেন নিবিড় পর্যবেক্ষনে আছে রোগী। এতে আরো কমবেশি আহত, জালাল, সেলিম। অসহায় পরিবারটি বর্তমানে সন্তাসীদের হুমকির মুখে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখতে বলছে, দোকানে গেলে ও ঘর থেকে বের হলে গুলি করে মারা হুমকি দিচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। প্রশাসনের কাছে সুস্থ বিচার ও নিরাপত্তা কামনা করছেন।
এঘটনায় সাবেক কমিশনার বশিরুল আইয়ুবকে প্রধান আসামী করে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। অন্য আসামিরা হলেন মো: আজিম,ইবনে কমর শাকিল,তাওহীদ, মো: রুবেল,দুদু মিয়া,মো: আমিন।
এই ব্যাপারে জানতে চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী, এবং ওসি তদন্ত অরুপ কুমার চৌধুরীর কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: