ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় প্রধান শিক্ষকের গালে সহকারি শিক্ষিকার তাপ্পড়, সুরাহা হয়নি একমাসে

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় প্রধান শিক্ষকের গালে সহকারি শিক্ষিকার তাপ্পড় মারার ঘটনার প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও প্রতিকার পায়নি ঘটনার শিকার প্রধান শিক্ষক। একারণে ওই সহকারি শিক্ষিকা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের পশ্চিম দরবেশ কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানাগেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি পোকখালী রেড় ক্রিসেন্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত পশ্চিম বড়ভেওলা আন্ত: ইউনয়িন বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা চলাকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত পশ্চিম দরবেশকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিন মাঠের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্বেরত সকল শিক্ষককে মাঠ থেকে উঠে যেতে বলেন। কিন্তু উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করেন তাঁরই সহকারি শিক্ষিকা নিশাদ কাদেরী পিংকী। এ সময় প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিন কোমল কন্ঠে প্রতিবাদ করলে নিশাদ কাদেরী পিংকী আকস্মিক গালে চড়-তাপ্পড় লাগায়। এ অবস্থা দেখে লোকজন এগিয়ে আসলে একটু পেছনে গিয়ে পিংকি ফের জুতা নিক্ষেপ করে তারই প্রধান শিক্ষক জমিরউদ্দিনের গায়ে। প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিন জানান, এ ঘটনা ঘটার পরও ওই শিক্ষিকা ক্ষান্ত হয়নি, মঞ্চে গিয়েও তাকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে।

এ ঘটনায় আক্রান্ত প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিন অভিযোগকারি হয়ে গত ৪ ফেব্র“য়ারি ঘটনার প্রতিকার চেয়ে চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, ঘটনার প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি।

বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক জানান, সহকারি শিক্ষিকা নিশাদ কাদেরী পিংকি তার প্রধান শিক্ষকের গায়ে কেবল হাতই তুলেননি বরং সরকারি কাজে বাধাঁও দিয়েছেন তিনি, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এখনো দুজনের মধ্যে স্নায়ু উত্তেজনা বিরাজমান বলে দাবী করেন ওই অভিভাবকরা। #

পাঠকের মতামত: