স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া:
কুতুবদিয়া থেকে লোকনাথ জলদাস (৪৬) নামের আরও এক নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে বড়ঘোপ এলাকার সাগরের চর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত জেলে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহঁরচাদা এলাকার নারায়ণ জলদাসের পুত্র।
গত ১১জুন কক্সবাজার সদরের ঈদগাও বোয়ালখালী জলদাস পাড়ার লালসেন বহদ্দারের মালিকাধিন একটি ফিশিংবোটে মাছ ধরতে যায় লোকনাথ। ওইসময় ফিশিংবোটটি ২০জন মাঝি মাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। গত ১৩জুন নিখোঁজদের মধ্যে কুতুবদিয়ার চরে ২জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৪জুন রাত ৮টার দিকে একই স্থান থেকে লোকনাথ জলদাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো ওই ফিশিং বোটের আরও ৭জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
কুতুবদিয়া থানার ওসি জিয়া মো: মোস্তাফিজ ভূইয়া জানান, লাশ পাওয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেছেন। লাশটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একইভাবে গত ১৩জুন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকার মৃত নরহরি জলদাসের ছেলে মদন জলদাসের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিবারে স্ত্রী সহ চার সন্তান রয়েছে। ৫-৬জন নাতি-নাতনি রয়েছে। আয়ের একমাত্র মানুষকে হারিয়ে পরিবারে চরম বির্পযয় নেমে এসেছে।
মদন জলদাসের আত্মীয় চিত্রসেন জলদাস জানান, তার পরিবারে আয়ের মানুষ মারা যাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন। বর্তমানে তার পরিবারে অভাব অনটন দেখা দিয়েছে। সরকারকে দ্রুত সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার জোর দাবী জানান তিনি।
এদিকে চকরিয়া উপজেলা মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী জানান, সাগরে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার বিভিন্ন সংকেত দেওয়ার পরও মৎস্য আহরণে বহদ্দারগণ চাপ দেন জেলেদের। অনেক সময় ৩-৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়ার পরও অতিলোভের কারণে বহদ্দার সমুদ্র থেকে জেলেদের আসতে বাধা দেন। এতে সমুদ্রে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার মধ্যেও মাছ ধরতে হয়। অকালে প্রাণ হারাতে হচ্ছে হতদরিদ্র জেলেদেরকে। তিনি আরও জানান, এসব লোভী বহদ্দারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করতে হবে। পাশাপাশি এসব হতদরিদ্র জেলেদের সরকার বা বেসরকারী সংস্থা থেকে আর্থিক সহযোগিতা ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ##
পাঠকের মতামত: