ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

চকরিয়ায় নারী পাচারকারী আটকের পর জিম্মিদশা থেকে ভিকটিম কিশোরী উদ্ধার

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকা থেকে আবু বক্কর নামের এক নারী পাচারকারীকে আটকের একদিন পর পুলিশের চাপের মুখে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত ভিকটিম কিশোরী। সোমবার সকালে আটক বক্করের স্বজনরা ওই কিশোরীকে থানায় হাজির করেন। এরপর বিকেলে লামা থানায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলার এক নম্বর আসামি আটক বক্করকে হস্তান্তর করে চকরিয়া থানা পুলিশ। একই সাথে উদ্ধার হওয়া ভিকটিমকে লামা মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তায় পুলিশের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে লামা থানায়। আগেরদিন মাতামুহুরী পুলিশ ফাঁিড়র আইসি কবির হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বহদ্দারকাটাস্থ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। আবু বক্কর ওই এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে।

সোমবার বিকেলে চকরিয়া থানার সামনে উপস্থিত লামা উপজেলার মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগম সাংবাদিকদের জানান, গত ৩০ জানুয়ারী সকালে লামা সদর উপজেলার শিলের তুয়া এলাকার আবুল হোসেনের কিশোরী মেয়ে জন্নাত আরা বেগম (১৩) বাড়ি থেকে দুধ বিক্রি করতে যান লামা বাজারে। ওইসময় অভিযুক্ত আসামি চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকার আবু বক্কর ওরফে লালা বক্কর কৌশলে কয়েকজন সহযোগির সহায়তায় ওই কিশোরীকে অপহরণ করেন। এ ঘটনায় গত ৩১ জানুয়ারী কিশোরীর খালা মোশারফা বেগম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের আইনে একটি মামলা (নম্বর-৯) দায়ের করেন। এতে এক নম্বর আসামি করা হয় আবু বক্করকে। তিনি বলেন, লামা থানার মামলার প্রেক্ষিতে আসামিকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধারে চকরিয়া থানা পুলিশের সহায়তা করেন বাদি ও লামা উপজেলা মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা। এরই প্রেক্ষিতে মাতামুহুরী পুলিশ ফাড়ির আইসি অভিযান চালিয়ে আগের দিন বহদ্দারকাটাস্থ বাড়ি থেকে বক্করকে আটক করেন।

মামলার বাদি মোশরফা বেগম জানান, আসামি বক্করকে গ্রেফতারের পর পুলিশের চাপের কারনে একদিন পর সোমবার সকালে জিম্মিদশা থেকে অপহৃত ভিকটিমকে (কিশোরী) চকরিয়া থানায় হাজির করে আসামির স্বজনরা। বাদি অভিযোগ করেছেন, অপহরণের ঘটনার সাথে আটক বক্করের সহযোগি হিসেবে কোনাখালী পুরুত্যাখালী এলাকার (বর্তমানে লামায় অবস্থান করে) বজল মেস্ত্রীর ছেলে নাজেম উদ্দিনসহ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের ব্যাপারেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।

অভিযান পরিচালনাকারী চকরিয়ার মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের আইসি কবির হোসেন বলেন, লামা থানার মামলার প্রেক্ষিতে নারী পাচারকারী বক্করকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরদিন তাদের জিম্মিদশা থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। সোমবার বিকেলে ভিকটিম ও মামলার আসামি বক্করকে লামা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত বক্করসহ সহযোগিরা দীর্ঘদিন ধরে নারী পাচার, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে স্থানীয় সুত্রে তথ্য পাওয়া গেছে। #

পাঠকের মতামত: