ঢাকা,সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

চকরিয়ায় দুই আওয়ামী লীগ নেতার উপর প্রকাশ্যে আরেক গ্রুপের হামলা

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে গত চারদিনে বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০-১২টি দখল, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে হাতঘড়ি ও ট্রাক সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। হামলা ও নাজেহাল থেকে রেহাই পাচ্ছে না আওয়ামী লীগ নেতারাও।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আবাসিক মহিলা কলেজের পাশে ডিস অফিস এলাকায় সাবেক সাংসদ জাফর আলমের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে দুই আওয়ামী লীগ নেতার উপর।

হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আমান উদ্দিন (৪৪) ও চিরিঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ্দিন কাজল (৪২)। তারা দুজনই হাতঘড়ির সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে।

হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা আমান উদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আবাসিক মহিলা কলেজের পাশে ব্যবসায়ি সন্তোষ শর্মার চায়ের দোকানে আমি ও চিরিঙ্গা ইউনিয়র আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাব উদ্দিন কাজল সহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি আড্ডা করছিলাম ওইসময় সাবেক সাংসদ জাফর আলম ও তার ক্যাডার বাহিনী তিনটি গাড়ি নিয়ে চায়ের দোকানের সামনে নামেন।

সাবেক সাংসদ জাফর আলম ও তার ক্যাডাররা অর্তকিতভাবে আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করেন। বেইমান ও দালাল বলে গালি গালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে মারধর ও নাজেহাল করেন। এসময় তিনি তার ক্যাডার বাহিনীকে গাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে আসতে বললে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান বলে জানান তারা।

চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর হামলা ও নাজেহালের ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে হাতঘড়ি ও ট্রাক সমর্থকরা।

এদিকে তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের তিনটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন সিসি ক্যামরার তথ্য সংগ্রহ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে সাক্ষী নিচ্ছেন। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের পাশে একটি চায়ের দোকানে সাবেক সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে মর্মে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে সেখানে পুলিশের তিনটি টিম রয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে সিসি ক্যামরার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপরই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: