ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় তথ্য মেলা উপলক্ষে ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্তস্কুল-মাদরাসা বিতর্ক সম্পন্ন

davএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তস্কুল-মাদরাসা বিতর্ক প্রতিযোগিতা। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং তথ্যমেলা উদযাপন উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র সহায়তায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার ৫৯টি মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় ও মাদরাসা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

অংশ নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোট চারটি উপাঞ্চলে ভাগ করে অনুষ্ঠিত বির্তক অনুষ্ঠানে ‘ক’ উপাঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয় এবং রানার্স আপ হয় হযরত ফাতিমা (রাঃ) দাখিল মাদ্রাসা। এ উপাঞ্চলের ফাইনাল রাউন্ডের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্তা দাশ। এতে মোট ১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

‘খ’ উপাঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে। এতে কোরক বিদ্যাপীঠ চ্যাম্পিয়ন এবং চকরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রানার্সআপ হয়। এ উপাঞ্চলের ফাইনাল রাউন্ডের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মো. ইয়াছের। এ অঞ্চলে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। ‘গ’ উপাঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে। এতে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় বিতার্কিক দল চ্যাম্পিয়ন এবং বদরখালি এম.এস. ফাজিল মাদ্রাসা রানার্সআপ হন। এ উপাঞ্চলের ফাইনাল রাউন্ডের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন চ্যাম্পিয়ন দলের তাফসিরাতুল জান্নাত। এ অঞ্চলে মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন।

‘ঘ’ উপাঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় মালুমঘাট খ্রীষ্টান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে। এতে মালুমঘাট আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় বিতার্কিক দল চ্যাম্পিয়ন এবং খ্রীষ্টান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় রানার্সআপ হন। এ উপাঞ্চলের ফাইনাল রাউন্ডের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন মালুমঘাট আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইমুনা জন্নাত তুহিন। এ অঞ্চলে মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ দিদারুল আলম এবং টিআইবি’র উপজেলা এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জসিম উদ্দিন। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চারটি অঞ্চলে মোট ২৭ জন বিচারক প্রতিযোগিতায় মূল্যায়নের দায়িত্ব পালন করেন। কোরক বিদ্যাপীঠে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ দিদারুল আলম বলেন, বির্তক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা যেভাবে পারফর্ম করেছে তা সত্যিই প্রসংশার দাবী রাখে। তরুণ শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশে এ ধরণের প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখান থেকেই জাতীয় পর্যায়ের বিতার্কিক তৈরী হবে বলে মনে করি।

এধরণের প্রতিযোগিতা আয়োজন প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতাকে জনপ্রিয় করা এবং এদের মধ্য থেকে ভালো বিতার্কিক বের করে আনার লক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরণের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি বিতর্ক ও বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ হবে। আগামী ২৬ ও ২৭ এপ্রিল উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ’র অনুষ্ঠানে চারটি উপাঞ্চলের বিজয়ীদের নিয়ে চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত প্রতিযোগিতায় ৫৯ টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৭৭ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন।

পাঠকের মতামত: