ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ট্রেস জালিয়াতির মাধ্যমে বেশি জমি হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্ঠার অভিযোগ

ovijogএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দলিল সম্পাদন করে সাড়ে ৬ কড়া জমি করলেও পরে কৌশলে ট্রেস জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রেতার পক্ষের বিরুদ্ধে বেশি জমি হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে ক্রেতা পক্ষের লোকজন উল্টো অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে ঘটনাটি ধরা পড়ে।

জানা গেছে, উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খিলছাদক এলাকার মৃত ইদ্রিছ আহমদের ছেলে প্রবাসী আবদুল করিম সাড়ে ৬ কড়া জমি ক্রয় করেন তাঁর খালা হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা গ্রামের আলম সাইর কাছ থেকে। খিলছাদক মৌজার বিএস ২৯০ খতিয়ানের ২২৪৬ আন্দর দাগের উল্লেখিত জমি ক্রয়ের ব্যাপারে চলতিবছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ৮২২ নং কবলা সম্পাদিত হয়। ক্রেতা আবদুল করিম প্রবাসে থাকায় তাঁর পক্ষে জমি কেনার কাজটি সম্পন্ন করেন স্থানীয় মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাফর আলম। এলাকাবাসি জানান, জাফর আলম একজন পেশাদার লোক। তাঁর মুল কাজ জমি বেচাকেনা করে দেয়ার মাধ্যমে দুই পক্ষ থেকে কিছু সুবিধা নেয়া।

বিক্রিত জমির পাশের বাসিন্দা স্থানীয় গোলামুর রহমান ও তাঁর ভাই আবদুর রহমান জানান, আলম সাইর তাঁর অংশের সাড়ে ৬কড়া জমি বিক্রি করলেও সম্পাদিত দলিলের ট্রেস ম্যাপে ঘষামাজা করে অভিযুক্ত জাফর আলম বর্তমানে আমাদের বসতঘরসহ বাড়িভিটার জায়গা ক্রয় করেছে দাবি করে জবরদখলের চেষ্ঠা করছেন। তাঁেত বাঁধা দিলে উল্টো সে আমাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হককে চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পাঠিয়ে সম্পাদিত দলিলটি যাছাই বাছাই করেন। ওইসময় সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেকর্ডে থাকা দলিলের সাথে অভিযুক্ত জাফর আলমের উপস্থাপন করা দলিলের মধ্যে ট্রেস ম্যাপে ঘষামাজা করার গোজাঁমিল ধরা পড়ে। পরে প্যানেল চেয়ারম্যান ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। বর্তমানে পরিষদে বিষয়টি বিচারধীন রয়েছে।

এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত জাফর আলম আগেও জমি সংক্রান্ত অনেক জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত। ২০০৬-০৭ সালে চকরিয়া উপজেলা ভুমি অফিসে অভিযুক্ত জাফর আলম নামজারি জমাভাগ মামলার (৩৯৭) অনুবলে একটি খতিয়ান (নং ৪৪০) সৃজন করেন। পরে ওই খতিয়ানের বিরুদ্ধে নুর মোহাম্মদ নামের ভুক্তভোগী বাদি হয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আপীল মামলা (নং ৫১/০৭) দায়ের করেন। মামলাটিতে বাদি নুর মোহাম্মদ গং ৭০২ ও ১৮১৭ দাগে আপত্তি জানালেও পরে তাতেঁ বেরিয়ে আসলে থলের বিড়াল। ওই খতিয়ানেও অভিযুক্ত জাফর আলম জালিয়াতির আশ্রয় নেন। এতে নতুন করে ধরা পড়ে আরো তিনটি দাগের গোঁজামিল। তারমধ্যে রয়েছে মাহাবুব আলমের ১৮০৯, আবুল কাশেমের ১৮১০ ও মামুনুর রশিদের ১৮০৫ নং দাগ। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবার গুলো মাঝে রীতিমত আতঙ্ক ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। #

পাঠকের মতামত: