কক্সবাজার জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে। নির্বাচনের আরো দুইমাস সময় বাকি থাকলেও চকরিয়ায় এখন থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী উত্তাপ। আওয়ামীলীগের পাশাপাশি বিএনপি, জাতীয় পাটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে সদস্য পদে লড়তে ইতোমধ্যে কোমড় বেঁেধ মাঠে নামতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে জেলার আট উপজেলায় জনসংখ্যা অনুপাতে ওয়ার্ড নির্ণয়য়ের কাজ শুরু করেছেন। সুত্র মতে, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং পেকুয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে আলাদাভাবে ৫টি ওয়ার্ড বিন্যাস করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক তালিকায় যে ৫টি ওয়ার্ড বিন্যাস করা হয়েছে তার মধ্যে চকরিয়া পৌরসভা, লক্ষ্যারচর, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন নিয়ে একটি, চিরিঙ্গা, সাহারবিল, ফাসিয়াখালী, খুটাখালী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন নিয়ে একটি, পুর্ববড় ভেওলা, বিএমচর, কোনাখালী, পশ্চিম বড়ভেওলা, ঢেমুশিয়া ও বদরখালী ইউনিয়ন নিয়ে একটি, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, পেকুয়া উপজেলার শীলখালী, বারবাকিয়া ইউনিয়ন নিয়ে একটি এবং পেকুয়া সদর, মগনামা, রাজাখালী, উজানটিয়া, টৈটং ইউনিয়ন নিয়ে একটি ওয়ার্ড করা হয়েছে।
এদিকে চকরিয়া পৌরসভা ও আশপাশ ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসন দুই উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাকে ৫টি ওয়ার্ডে যেভাবে ভাগ করেছেন তা ভোট ও সম্ভাব্য প্রার্থীসহ সকলের কাছে গ্রহন্যযোগ্য হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ভোটের ফলাফল নিজেদের অনুকুল আনতে ওয়ার্ডে প্রশাসনের বিন্যাস করা কয়েকটি ইউনিয়নকে রদবদলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতেকরে নির্বাচনে আগ্রহী অনেক প্রার্থীর মাঝে বিষয়টি নিয়ে চরম শঙ্কা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সম্ভাব্য একাধিক সদস্য প্রার্থী জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে চকরিয়া পৌরসভা, লক্ষ্যারচর, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন নিয়ে একটি ওয়ার্ড বিন্যাস করলেও প্রভাবশালী ওই মহলটি ফের প্রশাসনের কাছে বারবার ধর্না দিয়ে বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ভোটারদেরকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই ইউনিয়নটির স্থলে এখানে চিরিঙ্গা ইউনিয়নকে ঢুকিয়ে দেয়ার কারসাজি করছেন। যাতে নির্বাচনের সময় তাঁরা পরিকল্পিতভাবে নয়ছয়ের আশ্রয় নিতে পারে।
ভুক্তভোগী সদস্য প্রার্থীরা এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেছেন, ইতোমধ্যে যেসব ইউনিয়নকে ওয়ার্ডে বিন্যাস করা হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগের সেইসব ওয়ার্ডে রাখা হোক।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম জেলা প্রশাসন থেকে দেখভাল করা হচ্ছে। কাজেই ওয়ার্ড বিন্যাস কালে এখানে কোন ইউনিয়নের সাথে কোন ইউনিয়নকে সংযুক্ত করা হচ্ছে তা আমার জানা নেই। #
পাঠকের মতামত: