ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় জায়গা দখলে বসতঘরে হামলা হুমকির অভিযোগে বিধবা নারীর আর্তনাদ

Chakaria Pic 15-05-2017এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নিরিবিলি আবাসিক এলাকায় দিনদুপুরে বিএনপির নেতৃত্বে বিধবা মহিলার বসতবাড়িতে হামলা, লুটপাট ও জমি দখলের চেষ্ঠার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে গতকাল চকরিয়ার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নিরিবিলি আবাসিক এলাকার মৃত জাহাংগীর কবিরের বিধবা স্ত্রী রোকেয়া বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন সহজ সরল, শান্তি প্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন অসহায় বিধবা মহিলা।

তিনি অভিযোগ করেছেন, গত ৬মে সকালে আমার ভোগদখলী জমি দখলের উদ্দেশ্যে বিএনপির দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বসতবাড়িতে হামলা করে। লক্ষ্যারচর মৌজার আমার বসতবাড়ি লাগোয়া দীর্ঘদিন ভোগদলীয় ও নিজ মালিকাধীন জমাভাগ ১৩২৬নং খতিয়ানের বিএস ৬২৪৫ দাগ ও ১৩১৯নং খতিয়ানের বিএস ৬২৫৮ ও ৬২৫৯ দাগের জমি এবং বসতবাড়ি আছে। তা দখলে নিতে অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান গং ও শহিদুল ইসলাম গং। তার ধারাবাহিকতায় ৬তারিখ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এতে আমিসহ আমার পরিবারের ৫সদস্য আহত হয়। ৯মে আমি বাদি হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মামলা করি। পরে আমার পরিবারকে হয়রানির উদ্দেশ্যে তাঁরা পাল্টা মামলা করে। কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ভূঁয়া সংবাদ প্রকাশ করে। তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন পত্রিকায় আমি ও আমার ছেলেদেরকে জড়িয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন কিছু ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে। যা মুলত উদ্দেশ্য প্রণোধিত ও মনগড়া। তার সাথে ব্যস্তবতার কোন মিল নেই। মুলত মিজান ও শহিদ গং আমার বসতবাড়িতে হামলা চালায়।

বিধবা রোকেয়া বেগম দাবি করেন, মুল ঘটনা হল, চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের দখলবাজ শহিদুল ইসলাম গং ও মিজানুর রহমান গং একদল বিএনপি-জামাত ক্যাডার দিয়ে গত ৬ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আগমনের দিন প্রশাসন শূন্যতার সুযোগ নেয়। এসময় তারা চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি নুরুল হক রিটুর নেতৃত্বে আমার ভোগ দখলীয় বসতভিটা ও নাল জমি দখল চেষ্ঠায় হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। কিন্তু তারা দাবি করছেন, আমরা জমি দখল করেছি। কারা জমি দখল করেছে তার স্বচিত্র ভিডিও গণমাধ্যমে কাছে রয়েছে। তার মুল প্রমাণ ভিডিও চিত্র আমার কাছে আছে। তাদের হামলায় আমিসহ আমার চার সন্তান আহত হয়েছে। তা চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু তা শহিদ ও মিজান ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাহিত করতে বিএনপি-জামাত নেতাদের বাঁচাতে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। পাশাপাশি সংগঠিত ঘটনাকে ভিন্নরুপে মিথ্যা সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার করে।

ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম আরো বলেন, তাঁরা হামলা চালিয়ে আমার বাড়ি থেকে প্রায় ৩লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা কালো টাকার প্রভাব কাটিয়ে আমার মত আওয়ামীলীগ সমর্থিত একটি পরিবারকে বিএনপি জামাত ক্যাডার দিয়ে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে খেমে নেই। তারা প্রতিনিয়ত আমার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ডুকিয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়ে দেওয়া এবং হত্যা ও অপহরণ করে গুম করার হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, শহিদুল ইসলাম গং ও মিজানুর রহমান গং কোন দিন ভোগ দখলে ছিল না এবং বর্তমানেও নেই। আমি ৩০বছর ধরে চাষাবাদ করে বসবাস করে আসছি। এমতাবস্থায় আমি একজন বিধবা অসহায় মহিলা হিসেবে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমার স্বামীর ভিটামাটি আগলে ধরে বেঁচে থাকতে চাই। ##

পাঠকের মতামত: