ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ছড়াখাল থেকে বালু উত্তোলন বাঁধা দেয়ায় হামলা: মহিলাসহ আহত-৬

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের ঘিলাতলী চরপাড়ায় কুমারির ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে বালু খেকোরা তিনটি বসতঘরে হামলায় ও লুটপাট চালিয়েছে। এসময় নারীসহ ৬জন আহত হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর চকরিয়া থানার এসআই অপু ও চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরে ফাঁসিয়াখালী ও চিরিংগা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার কুমারির ছড়ার ঘিলাতলী চরপাড়া পয়েন্টে সাবেক রেঞ্জার মোজাম্মদ হোসেনের প্রভাব বিস্তার করে তার ভাই মোজাফ্ফর আহমদ, আবুল কাশেম, আবুল হাশেম অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। বালুর গাড়ি চলাচলে রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। প্রতিবাদ করায় মোজাফ্ফর আহমদ ১১৬ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে মোফ্ফরের পরিবারের লোকজনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে নারীসহ ৬জন আহত হয়।

আহতরা হলেন, চিরিংগা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ঘিলাকলী চরপাড়ার সৈয়দ নুরের পুত্র আবদুস ছোবাহান, সৈয়দ নুরের স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস, আবদুল গনির স্ত্রী রোহেনা বেগম, আবদুস ছোবাহানের স্ত্রী সুমি কাউছার মুন্নি, মো. হোসেনের স্ত্রী গোলবাহার, তার মেয়ে টিপু মনি, মৃত মো. শামশুলের পুত্র জয়নাল উদ্দিন। তারা চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আবদুস ছোবাহান অভিযোগ করেন, মোজাফ্ফরসহ তিনজন মিলে কুমারির ছড়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে চলতি বর্ষা মৌসুমে তিন বসতভিটার অর্ধেক শাখা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে স্থানীয়রা বালু উত্তোলন না করতে বললে তিনি লোকজন নিয়ে আসে চরপাড়ার প্রায় ১১৬ পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। সন্ত্রাসী কায়দা কারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এলাকার লোকজনকে হয়রানি বরে আসছে।

তারা আরো বলেন, প্রতিদিন ১৫-২০টি ট্রাক নিয়ে বালু বিক্রি করার কারণে রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে বাধা দেওয়ায় মোজাফ্ফর স্থানীয়দের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর চালায় এবং বসতভিটার গাছপালা কেটে পেলে।

তিনি আরো বলেন, হামলার সময় তারা আমার মা, স্ত্রীর স্বর্ণ এবং বাড়ির আসবারপত্র, মোবাইল সেটসহ প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা ধারাবাহিক হুমকিতে এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। মোজাফ্ফরের অবৈধ কার্যকলাপ স্থানীয় লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি তার ভাই সাবেক বনবিভাগের রেঞ্জার নাম ব্যবহার নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।###

পাঠকের মতামত: