চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে দোকান চুরির অভিযোগে বাড়ি থেকে ধরে এনে দুই যুবককে অমানবিক কায়দায় শাররীক নির্যাতনের ঘটনায় উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০জনকে আসামি করে একটি নালিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হেফাজ উদ্দিনের মা সজরুন নাহার বাদি হয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক বাদির অভিযোগ আমলে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া গ্রামের জোবাইর, রোসাইংগা পাড়ার টিটু, শান্তিনগর গ্রামের জুনাইদ, হারবাং স্টেশন পাড়ার আবদুস সাত্তার, শান্তিনগর গ্রামের কাদের, মইক্যাঘোনা গ্রামের নুরুল আলম, হারবাং স্টেশনপাড়ার বোরহান উদ্দিন, মুসলিমপাড়ার সালাহ উদ্দিন, স্টেশনপাড়ার আতিকুর রহমান ও শান্তিনগর গ্রামের সোলাইমান।
মামলার আর্জিতে বাদি হারবাং ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার মোহাম্মদ বাবুলের স্ত্রী সজরুন নাহার দাবি করেন, গত ২৭ জানুয়ারী সকালে কাঁচামালের দোকান চুরির অভিযোগ তুলে তার ছেলে হেফাজ উদ্দিন ও একই ইউনিয়নের শাহ আলমের ছেলে আমজাদ হোসেনকে বাড়ি থেকে ধরে এনে ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া জহুর আলমের দোকানের সামনে রাস্তার উপর অমানবিক কায়দায় শাররীক নির্যাতন করেন অভিযুক্ত আসামিরা। ওইসময় তাদেরকে শাররীকভাবে মারধরের পর পাশের একটি পুকুরে বেঁেধ রাখে অভিযুক্তরা। পরে তাদের কাছ থেকে দুটি খালী স্ট্যাম্পে জোরপুর্বক স্বাক্ষর নিয়ে ছেঁেড় দেওয়া হয়। ঘটনার পর দুই যুবককে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদি অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে হেফাজ উদ্দিন ও অপর যুবক আমজাদ হোসেন চুরির ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও হারবাং স্টেশন পাড়ার মৃত সোবাহান ফকিরের ছেলে গোলাম সাত্তারের ইন্ধনে অভিযুক্ত আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে বাড়ি থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর অভিযুক্তরা সবাই মিলে প্রকাশে পিটিয়ে শাররীকভাবে জখম করে দুইজনকে।
হামলার শিকার হেফাজ উদ্দিন ও আমজাদ হোসেনের পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পর অভিযুক্তরা তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দেয়। যাতে এ ঘটনায় তাঁরা আইনী কোন প্রতিকার চাইতে না পারে। এরপরও হেফাজ উদ্দিনের মা ঘটনার ব্যাপারে আদালতে ১০জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করার পর বর্তমানে অভিযুক্ত আসামিরা দুই পরিবারের লোকজনকে প্রকাশ্যে পথে-ঘাটে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এতেকরে দুই যুবকের পরিবার সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, দুই যুবককে শাররীকভাবে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলা হলেও এখনো মামলার কপি থানায় পৌঁেছনি। তবে মামলার কপি হাতে পেলে এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #
পাঠকের মতামত: