ঢাকা,শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

চকরিয়ায় চিংড়ি প্রকল্পে হামলা ও লুটপাট লুন্ডিত মাছ বিক্রি কালে একজন গ্রেফতার

atok,এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোন রামপুর মৌজার ৪৮একর আয়তনের একটি চিংড়ি প্রকল্পে বৃহস্পতিবার রাতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ১০-১২জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ওই চিংড়ি প্রকল্প থেকে লুটে নিয়ে যায় লক্ষাধিক টাকার মাছ ও জালসহ মালামাল। শুক্রবার সকালে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাড়ি বাজার লুন্ডিট মাছ বিক্রি করতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হামলাকারী পক্ষের সন্ত্রাসী মোরশেদ আলম (৩২)।

চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই তানবির আহমদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। মোরশেদ মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি এলাকার জালাল আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় চিংড়ি প্রকল্পে ঘটনায় একটি মামলা (নম্বর-৩১তাং ১৫/০৫/১৬) রয়েছে। মোরশেদ ওই মামলার ১৭নম্বর আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রামপুর মৌজার ওই চিংড়ি প্রকল্পটির ইজারাদার চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা গ্রামের মৃত ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ খোকন জানান, কক্সবাজার মৎস্য বিভাগ থেকে ইজারা নিয়ে ৪৮একর আয়তনের ওই চিংড়ি প্রকল্পটি তিনি চাষাবাদ করছেন। ২০১৫সালের ৫ মে রাতে মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি এলাকার ফরুক আহমদের ছেলে তোফায়েল আহমদের নেতত্বে ১০-১২জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার চিংড়ি প্রকল্পে হানা দিয়ে লাখ টাকার মাছ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় বাঁধা দিতে গেলে ওইদিন তাকে (ইজারাদার) কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ১৭জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা আসামি নজির মিয়া ও মজির আহমদ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।

চিংড়ি প্রকল্পের ইজারাদার জানান, মামলা দায়ের করার পর থেকে অভিযুক্ত তোফায়েল আহমদ তাকে বারবার হুমকি দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে তার নেতৃত্বে কয়েকবার চিংড়ি প্রকল্পে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত ২২জুলাই ও সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৮আগষ্ট) রাতে দুই দফা হামলা চালিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা লুট করে নিয়ে গেছে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছ ও মালামাল। শুক্রবার সকালে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাড়ি বাজারে লুন্ডিট মাছ বিক্রি করতে আসলে পুলিশ আগের মামলার পলাতক আসামি মোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে। ওইসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২০হাজার টাকার মাছ। #

পাঠকের মতামত: