ঢাকা,মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

চকরিয়ায় গুলি ছুড়ে বাজার দখল বিএনপি নেতার

dokholনিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :

 চকরিয়ার সর্ব বৃহত্তর চোয়ারফাঁড়ি মাছ বাজার দখল করে নিল সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রায় শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুড়ে এলাকায় চরম আতঙ্ক তৈরি করে। আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

সাহারবিল চায়ারফাঁড়ি মাছ বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাহারবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চোয়ারফাঁড়ি বাজারের মসজিদের সামনের একটি জায়গা জবর দখল করতে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা ভীতি সঞ্চার করার জন্য গোলাগুলি শুরু করে। ফাঁকা গুলি করে তারা বাজারের ভেতরে মসজিদের জন্য রাখা একটি নির্দিষ্ট স্থান দখল করে ৪০ হাত লম্বা একটি টিনের কাঁচা ঘর নির্মাণ করে নেয়। রাত ১টা থেকে ৮ ফেব্রুয়ারী ভোর পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা থেমে থেমে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। বুধবারও তারা ওই স্থানে অবস্থান নিয়ে আছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আবদুল হাকিম চেয়ারম্যান চকরিয়া উপজেলার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় ওই বাজারটি জবর দখল করে নিতে যায়। এ কারণে খবর দেয়ার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। সন্ত্রাসীরা ওই বাজারে অবৈধ ভাবে মাছ পরিমাপের জন্য ২০টি পাল্লা বসিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে, ৬টি বরফ দোকান থেকে ৮০ হাজার টাকা করে আদায় করে নিয়েছে। এদিন দুপুর পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা ওই বাজারে অবস্থান করছিল বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান গোলাগুলি ও বাজারের জায়গা জবর দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আবদুল হাকিম ঘর নির্মাণের কথা স্বীকার করে ওই জায়গাটি তার নিজের বলে দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, চোয়ারফাড়ি সরকারি মাছ বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনের জায়গা দখল করে কিছুদিন আগে সেখানে মাছের পাল্লা বসানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করেন আবদুল হাকিম ও তার লোকজন। এ ঘটনায় গত ১৫ জানুয়ারি স্থানীয় লোকজনের পক্ষ থেকে কোরালখালী গ্রামের মরহুম মোজাহের আহমদের ছেলে নুরুল আলম বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামী করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মাছ বাজারের মসজিদের ওই জায়গা উদ্ধার করেন এবং জড়িতদেরকে এ ব্যাপারে সর্তক করে দেন।

পাঠকের মতামত: