চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীর মোহনার ছয়টি উন্মুক্ত শাখা খাল জবরদখল করে মৎস্য চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। ওইসব শাখা খালে মৎস্য চাষ বন্ধের দাবিতে এলাকার কৃষক, মৎস্যজীবিসহ সর্বসাধারণ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। অপরদিকে খাল গুলো উন্মুক্ত করার আবেদন জানিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে এলাকাবাসির পক্ষে ইতোমধ্যে ৩৫০জন নাগরিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন তাৎক্ষনিকভাবে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পন্ডিতপাতা ও চিকনফাড়ি নামের দুটি শাখা খাল দখল করে সেখানে প্রভাবশালী একটি চক্র মৎস্য চাষ শুরু করেছে। এ অবস্থার কারণে এলাকার মৎস্যজীবি পরিবার রুটি-রুজির পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে চলাচল ছড়াখালে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করার কারণে এলাকার কৃষকরা চলতি মৌসুমে চাষের সেব সুবিধা নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছে। পাশাপাশি ইউনিয়নের চেপ্টাখালী খাল, তালেব খাঁন খাল, সুরমা খাল, ঘরপুড়া জোরা ও ঢেমুশিয়া খালটি একই ভাবে দখলে নিয়ে প্রভাবশালী লোকজন মৎস্য চাষ শুরু করেছে।
এদিকে খাল জবরদখল করে মৎস্যচাষ করার প্রতিবাদে সোমবার কোনাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পুর্ব কোনাখালী স্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকার কৃষক, মৎস্যজীবিসহ সর্বসাধারণ। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন সন্ত্রাস ও নাশকতা কমিটির সভাপতি মোক্তার আহমদ, স্থানীয় সমাজ সেবক ছৈয়দ আহমদ, মাতামুহুরী উপজেলা সন্ত্রাস নাশকতা কমিটির সদস্য অধ্যাপক মনজুর আলম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাউছারুল হক বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ইউনিয়ন সন্ত্রাস ও নাশকতা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর আলম বাদশা, যুবনেতা মোহাম্মদ ইকবাল, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নুরুল আজিম। উপস্থিত ছিলেন আবদুর রহিম, আবদুস সাত্তার, গিয়াস উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, যুবনেতা আলাউদ্দিন, মিঠু, নুরুল আবছারসহ নানা পেশার জনসাধারণ। #
পাঠকের মতামত: