ঢাকা,রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় কলেজ শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম

aaaaaaaaaaaaaএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের কলেজ ছাত্র মোর্শেদ ও মাহতাব উদ্দিন হত্যা মামলার আসামী এবং আসামিদের সহযোগীরা ফের এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাঁরা বর্তমানে এলাকার সাধারণ মানুষের উপর নানা ধরণের অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেছে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তরা বসতভিটার বিরোধের জেরে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের স্কুল ও কলেজ পড়–য়া দুই শিক্ষার্থীসহ ৪জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন, বরইতলী ইউনিয়নে নিহত কলেজ ছাত্র মোর্শেদ ও মাহতাব উদ্দিন হত্যার ঘটনায় সহায়তাকারী ফের এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাঁরা ইতোমধ্যে বেপরোয়া হয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরইতলী সিকদার পাড়া এলাকার মো.হামিদ আলীর ছেলে নুরুচ্ছফা ও তার ছেলে তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪/৫জনের একটিদল একই এলাকার মৃত আবদুস সালামের ছেলে নুরুন্নবীর বসতভিটা জবর দখল করতে হামলা করে। ওইসময় তাঁরা বাগানের গাছ থেকে সুপারী লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় বাধা দিলে তৌহিদুল ইসলামের লোকজন ধারালো অস্ত্রদিয়ে ৪জনকে কুপিয়ে জখম করে একই পরিবারের মা-মেয়েসহ চারজনকে।

আহতরা হলেন, ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মৃত আবদুস সালামের ছেলে নুরুন্নবী(৫৫) তার স্ত্রী বুলবুল আক্তার (৪৬), তাদের মেয়ে চকরিয়া কলেজের একাদশ ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী নুরে হাবিবা (১৭) ও বরইতলী আহমদিয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র আবদুল্লাহ আল মাছুমকে (১৬)। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাদের মধ্যে আহত বুলবুল আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন পরিবার সদস্যরা।

আহত কলেজ ছাত্রী নুরে হাবিবা অভিযোগে জানান, আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত হামলাকারী নুরুচ্ছফা ও তার ছেলে তৌহিদুলসহ সহযোগিরা সাধারণ মানুষের বসতভিটায় ডুকে নানা ধরণের অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে আসছে। শুক্রবার দুপুরে আমাদের বাড়িতে ডুকে তাঁরা বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও বাড়ির বাগানের গাছ সুপারী লুট করে নিয়ে যায়। ওইসময় বাঁধা দিতে গেলে আমার বাবা-মা,চাচাতো ভাই ও আমাকে বেদড়ক মারধর করে বাবা ও মাকে কুপিয়ে জখম করে।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, এলাকায় ফের হামলা ও লুটের ঘটনায় জড়িত এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা স্থানীয় কলেজ ছাত্র মোর্শেদ ও মাহতাব উদ্দিন হত্যার ঘটনায় অন্যতম সহযোগী। পাশাপাশি তাঁরা এলাকার আলোচিত দা বাহিনীর সদস্য।

পাঠকের মতামত: