কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচনে কথা মতো চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় কুলছুমা বেগম (২৬) নামের এক নারী শ্রমিককে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। মারধরে ওই নারী শ্রমিকের সর্বশরীর থেতঁলে গেছে। বুধবার বিকাল চারটার দিকে উপজেলার সুরাজুপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের বড়–য়াপাড়া স্টেশন এলাকায় ঘটেছে এ মারধরের ঘটনা। গুরুতর আহত ওই নারী শ্রমিককে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার শিকার নারী শ্রমিক ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে এলজিইডির প্রকল্পের আওতায় সড়ক উন্নয়ন কাজে গত দুইবছর ধরে কাজ করে আসছেন।
চকরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী পরিত্যক্ত নারী শ্রমিক কুলছুমা বেগম জানান, দুইবছর ধরে স্বামী মোহাম্মদ সফির সাথে দাম্পত্য কলহের কারনে বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়িতে থেকে এলজিইডির প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক উন্নয়ন কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। মঙ্গলবার সকালে ইউপি নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তার সমর্থকদের নিয়ে বাড়িতে ভোট চাইতে আসেন। ওইসময় নারী শ্রমিক কুলছুমা বেগম তাদেরকে জানায়, আমি ও আমার মা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেব। এরপর চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তার সমর্থকরা চলে যান। কুলছুমা বেগম অভিযোগ করেছেন, মুলত কথা মতো ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট দিতে রাজি না হওয়ার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সমর্থক স্থানীয় বড়–য়াপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ বাবুর ছেলে সাহাব উদ্দিন ও রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪-৫জনের দুর্বৃত্তদল সড়কের কাজ করে ফেরার পথে তার (কুলছুমা) গতিরোধ করেন। ওইসময় হামলাকারীরা তাদের প্রার্থীকে কেন ভোট দিবে না জানতে চেয়ে তার উপর হামলা শুরু করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে তাঁরা কুলছুমা বেগমকে গাছের বাট দিয়ে পিটিয়ে সর্বশরীর থেতঁলে দেয়। একজন গলা চেঁেপ ধরে তাকে স্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। আহত কুলছুমা বেগম জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশি ও স্বজনরা তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। #
পাঠকের মতামত: