ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হচ্ছে ৮০টি ম-পে শারদীয়া দুর্গাপূজা

chakaria-picture-03-10-2016এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়ায় এবার উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্টিত হবে ৮০টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব। শনিবার মহালয়ার মাধ্যমে দুর্গোৎসবের প্রারম্ভিকতা শুরু হলেও আগামী ৭ অক্টোবর ষষ্ঠীপূঁজার মধ্য দিয়ে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। উপজেলার আঠার ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার মধ্যে ৪৩টি ম-পে প্রতিমা এবং ৩৭টি ম-পে হবে ঘটপূঁজা। এছাড়াও ৪৩টি প্রতিমা ম-পের মধ্যে একটিতে হবে পারিবারিক পূঁজা। উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন উপজেলার ১৩টি প্রতিমা ম-পেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বাড়টি নজরদারীতে রেখেছে। এজন্য পুজা মন্ডপ গুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সদর সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম।

জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ব্যাপক উৎসাহ উদ্বিপনার মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উপজেলার প্রত্যেক কমিটির পক্ষ থেকে। কোন ধরণের বিশৃক্সক্ষলা ছাড়াই যাতে এবারের দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ ও ম-প কমিটির সংশিষ্ট নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বৈঠকও করা হয়েছে। এখন ম-পে গুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের চুড়ান্ত প্রস্তুতি। বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে প্রতিটি ম-পকে। এবারের দুর্গোৎসবও যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য আগেভাবেই নজরদারী শুরু করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আজ-কালের মধ্যে উপজেলার প্রতিমা ম-পগুলোর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেবে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া মন্ডপ গুলোকে টহলে থাকবে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ দল।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, সুন্দর ও নিবিঘœ পরিবেশে এবারও শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ ও ম-প কমিটির সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করা হয়। বৈঠকের সিদ্বান্ত মোতাবেক মন্ডপ গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

চকরিয়া উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি তপন কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও উৎসবমুখ পরিবেশে শান্তিপুর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যে উপজেলার ম-পগুলোর সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। তাঁরা বলেন, এবার উপজেলায় দুটি প্রতিমা ম-প বেড়েছে। সেই হিসেবে ৪৩টি ম-পে প্রতিমা পূঁজা এবং ৩৭টি ম-পে ঘটপূঁজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ডুলাহাজারা, খুটাখালী, হারবাং, বরইতলী, পূর্ব বড় ভেওলা, সাহারবিল ইউনিয়নের অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১৩টি ম-পকে বিশেষ নজরদারিতে রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে আগে থেকে জানানো হয়েছে।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, আগামী ৬ অক্টোবর থেকেই প্রতিটি প্রতিমা ম-পের নিয়ন্ত্রণে নেবে আইন-শৃক্সক্ষলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নির্বিঘেœ দায়িত্ব পালন করবে ম-পে ম-পে। এছাড়াও পুলিশ ও র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ টহল দল থাকবে ম-পের আশপাশে। যাতে মন্ডপ ও পুজারীদের ধর্মীয় কাজে কোন ধরণের ব্যঘাত না ঘটে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, উপজেলার ৮০টি মন্ডপে যাতে নিরাপদে এবং নির্ভয়ে পুজারীরা শারদীয়া দুর্গোৎসব পালন করতে পারে সেই জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৭ অক্টোবর পুজার মুল আনুষ্টানিকতা শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া সময় পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালনে সতেষ্ট থাকবে। তিনি বলেন, সকল ধরণের আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছাড়াই পুজারীরা শারদীয় দুর্গোৎসবের অনুষ্টানমালা উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করতে পারবে। #

পাঠকের মতামত: