ছবির ক্যাপশন-১/ মাতামুহুরী আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় অতিথিদের পেছনের সারিতে চেয়ারে বসা বহিস্কৃত আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহিম (গোলাপী গেঞ্জি পরিহিতা) ও তার পাশেই বসা হারুন সরওয়ার বাদল (চেক হাফ শার্ট পরিহিতা)।
ছবির ক্যাপশন-২/পুর্ববড় ভেওলা ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক হাতে নিয়ে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয় আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহিম (গেঞ্জি পরিহিতা)। ফাইল ছবি।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে গত ৭ মে। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন কক্সবাজার জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক তরুন ব্যবসায়ী খলিল উল্লাহ চৌধুরী। তফসিল ঘোষনার পর স্থানীয় থেকে শুরু করে জেলা, উপেেজলা এমনকি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থী তথা নৌকা প্রতীকের পক্ষে সকল ভেদাভেদ ভুলে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েন। কিন্ত ঠিক ওইসময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধীতা করে বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল আরিফ দুলাল তথা ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক হারুন সরওয়ার বাদল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহিম। অবশ্য পরে জেলা আওয়ামীলীগ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আজিজুর রহিমকে আওয়ামীলীগের পদ থেকে বহিস্কার করেন। তবে হারুন সরওয়ার বাদলের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি জেলা আওয়ামীলীগ।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনের একমাস ২০দিন পর গত সোমবার (২৭জুন) মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় ইফতার মাহফিল ও দলের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার। এদিন বিকালে মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা’র সভাপতিত্বে অতিথিদের অংশ গ্রহনে আলোচনা সভা শুরু হয়। অনুষ্টানের এক পর্যায়ে হঠাৎ করে মঞ্চে উপস্থিত হন বিএনপির প্রার্থী তথা ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয়া বহিস্কৃত আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহিম ও হারুন সরওয়ার বাদল। অনুষ্টানে উপস্থিত হয়ে তাঁরা অতিথিদের পেছনের সারিতে চেয়ারে বসে পড়েন। ওইসময় সভায় উপস্থিত দলের সকলস্থরের নেতাকর্মীদের মাঝে তাদের উপস্থিতি নিয়ে কানাঘুষা ও চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে ওইসময় কেউ সভায় তাদেরকে উপস্থিতির বিষয় নিয়ে অভিযোগ তুলেনি। এসময় বিষয়টি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরাও অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় ছিলেন।
এদিকে বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ করেও কোন ধরণের বক্তব্য দিতে রাজি হননি। #
পাঠকের মতামত: