কক্সবাজারের চকরিয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হুদাকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি দুই সহোদরকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হওয়া মামলার প্রধান আসামি বদরখালী ইউনিয়নের মগনামা পাড়ার মৃত নুর আহমদের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৪২) ও তাঁর ভাই তিন নম্বর আসামি আবদুল কাইয়ুমকে (৩৮) বুধবার আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে নিয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার রিমান্ড শুনানীকালে আসামি দুই সহোদরকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হারবাং পুলিশ ফাড়ির আইসি এসআই মো.আলমগীর আলম বলেন, হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকাবস্থায় গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে মামলার এক নম্বর আসামি আবু বক্কর ছিদ্দিক ও তিন নম্বর আসামি ও তাঁর ভাই আবদুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর তাদেরকে আদালতে সৌর্পদ্দ করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে আদালত বুধবার শুনানী শেষে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, দুই সহোদার আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হুদাকে কি কারনে হত্যা করা হয়েছে তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। বুধবার থেকে তাদের রিমান্ড শুরু হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, চলতিবছরের ৩০ জুন রাত ১০টার দিকে আওয়ামীলীগের নেতা নুরুল হুদাকে প্রকাশ্যে বদরখালী ফেরীঘাটস্থ একটি খাবার হোটেল থেকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এরপর রাতের অন্ধকারে লবণ মাঠ এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ সড়কের পাশে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় নিহতের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান বাদি হয়ে ঘটনার পরদিন চকরিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্য মামলা দায়ের করেন।
পাঠকের মতামত: