চকরিয়া জনতা শপিংসেন্টার নামের বাণিজ্যিক মার্কেটের রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব নিয়ে আদালতের আদেশ সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছে পুলিশ।
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
চকরিয়া পৌরসভার জনতা শপিং সেন্টার নামের একটি মার্কেটের পৈত্রিক সম্পত্তির বিরোধের জেরে স্থানীয় মরহুম মোজাহের আহমদ কোম্পানীর দুই স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে প্রায় ১০বছর ধরে থানা ও আদালতে একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলা এবং সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। মামলা গুলোতে দুই পক্ষের লোকজন কেউ বিজয়ী আবার কেউ পরাজিত হয়েছে। এখনো চলমান রয়েছে অনেক মামলা। তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের দায়ের করা সর্বশেষ একটি মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিরোধপুর্ণ জায়গায় নির্মানাধীণ মার্কেটের রক্ষনা-বেক্ষনের জন্য থানার ওসিকে রিসিভার নিয়োগ করেছে। আদালতের নির্দেশে থানার ওসি বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আদালতের আদেশও তামিল করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার জনতা মার্কেট এলাকার মরহুম মোজাহের আহমদ কোম্পানীর পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে থাকার পরও ২০০৭ সালে এক পক্ষের সাথে চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রামের ইমপাল্স প্রপাট্রিজ লিমিটেড নামের একটি ডেবলাপার প্রতিষ্ঠান চকরিয়া শহরে শুরু করে বিরোধপুর্ণ জায়গায় জনতা শপিং সেন্টার নামের বহুতল বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ কাজ।
জানা গেছে, মার্কেটের নির্মাণ কাজের শুরুতে নির্মাণাধীন মার্কেটের ভেতর ১৬ শতক জায়গার মালিকানা নিয়ে সর্বশেষ ২০১০ সালের জায়গার মালিক মরহুম মোজাহের আহমদ কোম্পানীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মো.এরশাদ আলম গং বাদি হয়ে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর (মামলা-১৫/১০) দায়ের করেন। মামলাটিতে বিবাদি করা হয় ডেবলাপার প্রতিষ্ঠান ইমপাল্স প্রপাট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম, পরিচালক মুসলিম করিম, আবু ছগির ও জায়গার মালিক পক্ষের আনোয়ার আলম, জাফর আলম, মো.শাহ আলম, মনছুর আলম ও জানে আলমসহ ৮জনকে।
মামলার বাদি এরশাদ আলমের বড়ভাই জায়গার মালিক পক্ষের অংশিদার সামসুল আলম জানান, উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাদের পক্ষে এমআর মামলাটি রুজু করার পর আদালতের বিচারক শুনানী শেষে ২০১০ সালের ১০ আগষ্ট বিরোধীয় জায়গা ক্রোকাবদ্ধ করে শাসন সংরক্ষনের জন্য থানার ওসিকে রিসিভার নিয়োগ করেন। তিনি বলেন, ওইসময় আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদি পক্ষ সংক্ষুদ্ধ হয়ে কক্সবাজারস্থ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা (১৯৫/১০) দায়ের করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই আদালতের বিচারক নিন্ম আদালতের রিসিভার নিয়োগের নির্দেশনা বহাল রেখে চুড়ান্ত আদেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে চলতিবছরের পহেলা ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার ১৫ ফেব্রুয়ারী সকালে ঘটনাস্থল চকরিয়া জনতা শপিং সেন্টারে উপস্থিত হয়ে আদালতের আদেশের তথ্য সম্বলিত সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ পালনের মাধ্যমে মার্কেটটির রিসিভার হিসেবে দায়িত্ব নেয়া হয়েছে। #
পাঠকের মতামত: