ঢাকা,রোববার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

চকরিয়ার হারবাংয়ে স্বামী-শ্বাশুড়ের নির্যাতনে গৃহবধু খুন

Chakaria Picture 23-01-17 (2)Chakaria Picture 23-01-17 (3)নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ে শ্বশুর বাড়ির জমি বিক্রির টাকার ভাগ এনে না দেয়ায় স্বামী-শ্বাশুড়ের নির্যাতনে করে এক গৃহবধুকে হত্যা করেছে।  এক সন্তানের জননী গৃহবধু  তছলিমা জন্নাত (২৫) নামের গর্ভবতী স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে হারবাং ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াডের আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধু ওই গ্রামের অভিযুক্ত ওসমান গনির স্ত্রী বলে জানা গেছে । ঘটনার পর ঘাতক স্বামী দন্ত চিকিৎসক ওসমান গণি পালিয়ে গেলেও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ^াশড় আবু তাহেরকে জনতার সহায়তায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ওই এলাকার আবু তাহের মিস্ত্রীর ছেলে হাতুড়ে দাতের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ওসমান গণির হারবাং বাস স্টেশনে একটি ফার্মেসি রয়েছে। ওসমান ব্যবসার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করত বলে এলাকার লোকজন জানায়। মাদকাসক্ত হয়ে ঘরে ফেরার পর স্ত্রীকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন চালাতো।

কয়েকদিন পূর্বে তছলিমার বাবা মাহবুব জমি বিক্রি করে। ওই জমি বিক্রির টাকার ভাগ এনে দিতে স্ত্রীকে চাপ দেয় ওসমান গণি। এনিয়ে সোমবার সকালে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করে বাড়িতে ফেলে ওসমান প্রতিদিনের ন্যায় দোকানে চলে যায়। এতে আহত তছলিমাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ঘরে রেখে ওসমান বাইরে চলে যায়। ওসমান দোকানে চলা যাওয়ার পর বিনা চিকিৎসায় দুপুর ১টায় তছলিমা আঘাতের ক্ষত নিয়ে বাড়িতে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিল। এ সময় বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আসা তছলিমা জন্নাতের শ্বাশুড় আবু তাহের মেস্ত্রী পুত্রবধুকে গলাটিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।  এলাকাবাসী চকরিয়া নিউজকে বলেন, তছলিমা জন্নাতের একমাত্র সন্তান মাকে খুন করার সময় উপস্থিত ছিল। ওই শিশুকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, আমার দাদু তার মাকে গলা টিপে হত্যা করেছে। এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে ওসমান ও তার পিতা আবু তাহের  পালিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে হারবাং ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর স্ত্রী মারা গেছে। হত্যার অভিযোগ উঠায় তছলিমা জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত গা-ঢাকা দেয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, হত্যার ঘটনা জানিনা। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: