এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী একতাবাজারে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৯০টি
অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে শুরু হয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী একতাবাজার (গরুবাজার) ও রাস্তার মাথা এলাকায় সড়ক বিভাগের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল লতিফ খানের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো: রাহাত আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো: কুতুব উদ্দীন তালুকদার, জেলা পুলিশ লাইনের রির্জাভ পুলিশ, চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়া সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো: কুতুব উদ্দীন তালুকদার বলেন, বিগত সময়ে কতিপয় দখলবাজ চক্র নানা উপায়ে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জায়গা দখলে নিয়ে একাধিক অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে। ইতোপূর্বে এসব জবরদখলে জড়িত অভিযুক্ত দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে সড়ক বিভাগ নোটিশ জারি থেকে শুরু করে আদালতে মামলা রুজু করা হয়।
একইভাবে মহাসড়ক লাগোয়া চকরিয়ার বরইতলী একতাবাজার (গরুবাজার) ও রাস্তার মাথা এলাকায় সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জায়গা দখলে নিয়ে কতিপয় মহল সেখানে অবৈধ স্থাপনা (দোকানপাট মার্কেট) তৈরি করে রীতিমতো দোকান ভাড়া দিয়ে মাসে মাসে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, অবৈধ জবরদখলকারীর কবল থেকে সড়ক বিভাগের জায়গা উদ্ধারে কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয় এর নির্দেশে আমরা ইতোমধ্যে বরইতলী একতাবাজার ও রাস্তার মাথা এলাকায় অবৈধ স্থাপনা তৈরিতর জড়িতদের নোটিশ দিয়ে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানাই। সর্বশেষ গত ২৬ জানুয়ারি সওজের লোকজন ওই এলাকায় মাইকিং করে সংশ্লিষ্টদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে মর্মে জানিয়ে দিই। সেই ঘোষণার আলোকে সোমবার ২৭ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে বরইতলী একতাবাজার (গরুবাজার) ও রাস্তার মাথা এলাকার অন্তত ৯০টি অবৈধ স্থাপনা (দোকানপাট) স্কেভেটর গাড়ি দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, সড়ক বিভাগের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত থাকলেও গতকাল সময়ের সল্পতার কারণে সব পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি বলেন, চকরিয়ার জিদ্দাবাজার এলাকায় মহাসড়কের সামনে অংশ অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি করা ফুটবল খেলার স্টেডিয়াম থেকে সওজের জায়গা ছেড়ে দেবে বলে মুছলেকা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেকারণে তাদেরকে একদিন সময় দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁরা সামনের অংশ ছেড়ে না দেন তাহলে পরবর্তী সময়ে অভিযান চালিয়ে সেটি উচ্ছেদ করা হবে।
পাঠকের মতামত: