চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধা কচ্চপিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ অন্তত ৭ জন গুরতর আহত হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংঙ্খা জনক বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, খুটাখালী ইউনিয়নের মধ্যম মেধা কচ্ছপিয়া এলাকার মহি উদ্দিন সুজনের স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্য রাজিয়া সুলতানা(৩২), আমীর হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম(৪০), আব্দুল হাকিমের পূত্র মোস্তফা কামাল(২২) আমীর হোসেনর পূত্র মোহাম্মদ আমিন(১৮), মোস্তাক আহামদের পূত্র ফরহাদুল ইসলাম(১৫), মোজাফ্ফর আহামদের পূত্র আব্দু রহিম ও তার ভাই আব্দু জলিল(৩৫)।
গত ২৮ মে শনিবার সন্ধ্যায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। এ ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের এস.আই কবির ও এস.আই এনামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, মারধরে আহত আবদুর রহিম একই এলাকার মৃত ইসলাম আহামদের পূত্র বাবুল মিয়ার কাছ থেকে ২০০ টাকা পাওনা ছিল। ঘটনার দিন আবদুর রহিম তার পাওনা টাকা বাবুলের কাছে ছাইলে, বাবুল টাকা না দিয়ে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুর রহিমকে মারধর করে। পরে রহিমের স্বজনরা মারধরের কারণ কি তা বাবুলের কাছে জানতে ছাইলে বাবুলের লোকজন একই এলাকার গুরাচাদ হাজ্বীর পূত্র ইলিয়াছন (৩৫), কালা চাদ হাজ্বীর পূত্র আবু তৈয়ব(৩২) তার দুইভাই আবু তালেব(৪০) এরশাদুর রহমান(৩০) তাজুমুল্লুকের পূত্র রেজুমিয়া (২২) সহ ৮-১০ জন মিলে লাঠি-ছোড়া নিয়ে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে তারা মহিলা সহ অন্তত ৭ জন গুরতর আহত হয়। স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ছলিম উল্লাহ ও তারেকুল ইসলামের মাধ্যমে সমাধানের কথা থাকলেও বর্তমানে হামলাকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ফাঁকাগুলি বর্ষণ ও আহতদের প্রণ নাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, চকরিয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, খুটাখালীতে প্রতিপক্ষের মার-ধরে মহিলা সহ কয়েকজন আহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: