নুরুল আমিন হেলালী, কক্সবাজার ::
দরজার সামনেই কড়া নাড়ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এই কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে মাংস সংরক্ষণের জন্যে কক্সবাজারে কদর বেড়েছে বিভিন্ন সাইজের সাধারণ ও ডিপ ফ্রিজের। শহরের কয়েকটি শোরুমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে বেড়ে চলেছে ফ্রিজ বিক্রি। এছাড়া এবার যোগ হয়েছে ভ্যাপসা গরম। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাহিদা বেশি বলে জানান কয়েকজন সেলস ম্যানেজার। জানা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ি ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানীগুলোও অসংখ্য কালার-ডিজাইন ও মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানী ঈদ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একটি ফ্রিজ কিনলে বিভিন্ন উপঢৌকনসহ হরেক রকম ডিসকাউন্ট অপার দিয়ে রেখেছে। ফলে ক্রেতারাও খুশি অবিশ্বাষ্য সব কটি অপার নিয়ে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের ফ্রিজ কিনতে পেরে। ফলে কদর বেড়েছে ফ্রিজের। বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় ফ্রিজ ব্যাবহারের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রায় সব গৃহিনীরাই পছন্দ করছেন বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজ। কলাতলীর বাসিন্দা গৃহিনী মনোয়ারা পারভিন জানান, একটি ফ্রিজের চাহিদা অনেকদিন ধরে অনুভব করলেও সাধ্য না থাকায় কিনতে পারেন নি। কিন্তু এবার অনেকদিনের জমানো টাকা দিয়ে ওয়ালটন শো-রুম থেকে একটি ফ্রিজ কিনলেন বলেও জানান তিনি। থেকে এর পাশাপাশি বিদেশী কোম্পানীর আমদানিকৃত ফ্রিজের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েছে দেশে তৈরীকৃত ফ্রিজেরও। যমুনা ফ্রিজের ঈদগাঁওস্থ এক্সক্লোসিভ ডিলার আজুবা ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন ও সিঙ্গার প্লাস শোরুমের সেলস ম্যানেজার ওবায়েদ জানান, কোরবানকে সামনে রেখে তাদের ডিপফ্রিজ এবং সাধারণ ফ্রস্ট ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে আশাতীতভাবে। এছাড়া মেরামতের দোকানগুলোতেও পুরাতন ফ্রিজ সার্ভিসিং থেকে শুরু করে নষ্ট ফ্রিজ ঠিক করে নেওয়ারও হিড়িক পড়েছে। অন্যদিকে এসব ফ্রিজে বিনা মুনাফায় কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুবিধা থাকায় খুশি মধ্য ও নি¤œবিত্তের ক্রেতাসাধারণও। তাই ঈদ উপলক্ষে কদর বেড়েছে ফ্রিজের।
পাঠকের মতামত: