বিশেষ প্রতিবেদক ::::
বদরখালী আল হুমায়রা আইডিয়াল মহিলা মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ১৪/১৫ জনের একদল সন্ত্রী মাদরাসায় ঢুকে শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে তাদেরকে মাদরাসা থেকে বের করে দিয়ে মাদরাসা দখলের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
জানাগেছে, ২০১০ সাল থেকে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা বদরখালীতে এনজিও সংস্থা ইফাদের একটি পরিতক্ত ভবনে একটি মহিলা মাদরাসা পরিচালনা করে আসছেন। ওই পরিতক্ত ভবনটি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছেন মাদরাসা স্থাপনকারী কর্তৃপক্ষ।
মাদরাসাটি ২০১১ সালে পাঠ দান অনুমতি পেয়ে ২০১২ সাল থেকে ৫ম শ্রেণীর সরকারী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে আসছে। বর্তমানে মাদরাসাটি ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত দুই শতাধিক মহিলা শিক্ষার্থী নিয়ে সুনামের সাথে চলে অসছে। স্থানীয় অভিভাবকরা এই মাদরাসার পড়া-লেখা নিয়ে খুবই সন্তুষ্ঠ বলেও জানাগেছে।
কিন্তু আজ (গতকাল) হঠাৎ করে স্থানীয় অব্দুল জলিলের ছেলে ছোটন ও জাকের উল্লাহ এবং তার ছেলের নেতৃত্বে ১৪/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী মাদরাসায় হামলা করে। এসময় ৮/১০ জন ছাত্রী ও কয়েকজন শিক্ষক আহত হয় বলে জানিয়েছেন মাদরাসার সুপার মাওলানা অব্দুল মান্নান। তিনি অরো জনানা, এসময় স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা গিয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করে।
মাদরাসার সুপার মাওলানা অব্দুল মান্নান জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত শিক্ষা বন্ধব। পাশাপাশি নারী শিক্ষা ও মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপারেও সরকার খুবই আন্তরিক। তাই তারা এই মাদরাসা রক্ষার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনজর কামনা করেছেন। মাদরাসা সুপার স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নজরে নিয়ে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরুধ জানিয়েছেন।
#########################
কৈয়ারবিলে সন্ত্রাসী হামলায় মা-ছেলে গুরুতর আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :
চকরিয়ায় সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মা-ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। ওইসময় আহত অবস্থায় তাদেরকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খোছাখালী জলদাস পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে গতকাল সোমবার হরিরঞ্জন বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খোজাখালী জলদাস পাড়ার বাসিন্দা সুখসেন ও তার পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক ভাবে পাওয়া বসতভিটায় বসবাস করে আসছেন। একই এলাকার অরুন জলদাস তাদের দখলীয় বসতভিটার সীমানা জোরপূর্বকভাবে দখল করতে চায়। সীমানা বিরোধ নিয়ে স্থানীয়ভাবে অরুণের বিরুদ্ধে কয়েকবার বিচার শালিশও দেওয়া হয়। সেখানেও সে জায়গা পাবে না বলে রায় দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় অরুণ।
এদিকে সুখসেন বলেন, তার দখলীয় বসতভিটা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিপক্ষ অরুণ গং। গত বুধবার সকাল ৮টায় অর্তকিতভাবে অরুণের নেতৃত্বে ৪-৫জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তার স্ত্রী সুমতি বালার (৫০) উপর দা ও রড নিয়ে হামলা করে। এসময় তার পুত্র হরিরঞ্জন (৩৯) এগিয়ে আসলে তাকেও হামলা চালায় তারা। এতে মারাত্মকভাবে আহত হয় মা সুমতি বালা ও পুত্র হরিরঞ্জন। তাদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি ভাঙ্চুর ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। বর্তমানে সুমতি বালার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এদিকে গতকাল সোমবার চকরিয়া উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হরিরঞ্জন জলদাস বাদি হয়ে অরুণ, মিঠন, রাজীব ছৈরাসীকে আসামীকে মামলা দায়ের করেছেন।
পাঠকের মতামত: