ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়া চ্যানেলে রংধনুর আলো! শুরু হচ্ছে অর্থোপেডিক ও প্লাস্টিক সার্জারী সেবা

12144705_889534974455838_5989135785643671443_nএম.জুবাইদ. পেকুয়া :::

পেকুয়ায় ভ্রাম্যমান তরী রংধনু ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল এর মাধ্যমে চলছে চিকিৎসা সেবা। এ হাসপাতালটি সাগরে রংধনুর আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। সমাজের অনগ্রস দরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা দিতে জাহাজের মাধ্যমে চলছে চিকিৎসা সেবা। সম্পুর্ন বিনা মুল্যে ওই চিকিৎসা সেবা নিতে প্রতিদিন শতশত রোগী কুতুবদিয়া চ্যানেলে ভাসমান জাহাজে ভীড় করছে। মানবতার কল্যানের জন্য রংধনু ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল ১মাসের অধিক সময় ধরে ওই চ্যানেলে অবস্থান করছেন। ইউরোপের লুক্সমর্বাগ এর একটি ধাতব্য সংস্থা এ চিকিৎসা সেবার জন্য অর্থ ও জনবল নিয়োগ করেছেন। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের দুর্গম ও সমুদ্রের নিকটতম উপকূলীয় এলাকা সমুহতে চিকিৎসা সেবা চলমান রাখেন। রংধনু ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়ার সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোকে সেবা নিশ্চিত করতে গত দু’বছর ধরে এ জনসেবা মূলক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। চলিত বছরে ওই প্রতিষ্টনটি কুতুবদিয়ার পরিবর্তে পেকুয়ার চিকিৎসা সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। জানা গেছে গত ১৩জানুয়ারী থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেলে রংধনু ভ্রাম্যমান চিকিৎসা তরী অবস্থান নেয়। মগনামা জেটিঘাটের অদুরবর্তী স্থানে ভ্রাম্যমান চিকিৎসালয় রংধনু হাসপাতালের তরীটি নোঙ্গার করেন। সেখানে নিয়মিত দেখা হচ্ছে রোগি। এক মাস পূর্ব থেকে ভ্রাম্যমান ওই হাসপাতালে বিনামুল্যে চিকিৎসা নিতে রোগিদের প্রচন্ড চাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। মগনামা ঘাট এলাকায় শতশত রোগি রংধনু ফ্রেন্ডশীপ তরীতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। একটি ড্যানিস নৌকা দিয়ে ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে রোগিরা সাগর পাড়ি দিয়ে তরিতে পৌছছে। জানা গেছে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ জন রোগিকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো ওই হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়। জটিল ও সার্জারীর জন্য রোগিদের শনাক্ত করা হয়। জটিল রোগিদের ওই দাতব্য সংস্থা থেকে দেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে নিয়ে গিয়ে তাদের অর্থ থেকে চিকিৎসা করা হয়। চোখের যাবতীয় চিকিৎসা ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নাক, কান, দন্ত চিকিৎসাও সেখানে করা হয়। এমবিএিস, বিডিএস, এফসিফিএসসহ অভিজ্ঞ কনসালটেন্ট সেখানে নিয়োজিত রয়েছে। সপ্তাহের বিশেষ দিনে বিশেষজ্ঞ ও সার্জারী বিভাগের চিকিৎসকরা আসেন। জানাগেছে রোগির জটিল চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতাল থেকে সহযোগি অধ্যপক (সার্জান) ডা. মঈনুল হক, বিডিএস ডা.মারিয়া ও ডা.জেমন্স ওই হাসপাতালে রোগি দেখেন। এছাড়া বিদেশ থেকেও চিকিৎসকরা ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে আসেন। ফেন্ডশীপ হাসপাতাল ভ্রাম্যমান জাহাজটি সম্পুর্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সেখানে ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্সরে সহ একটি অত্যাধুনিক ল্যাব রয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় রোগিদের কাছ থেকে কোন ধরনের ফি নেওয়া হয়না। এছাড়া সব ধরনের মেডিসিন ওই হাসপাতাল থেকে বিনামুল্যে সরবরাহ দেওয়া হয় রোগিদের। ২৪ঘন্টা হাসপাতালের একটি ফার্মেসী খোলা থাকে। সেখান থেকে প্রেসক্রাইপকৃত সব মেডিসিন দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকজন নার্স নিয়োজিত রয়েছে। তারা নরমালী চিকিৎসাও রোগিদের দিয়ে আসছেন। গতকাল সকালে ০১৭৫৫৬০৬৬১১ নং যোগাযোগ করে হলে একজন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদক জানান বর্তমানে মহিলাদের জরায়ু রোগের ডচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ৫মার্চ থেকে ১৩মার্চ অর্থোপেডিক(পা বাঁকা ও পোঁড়া) রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি অপারেশন ও ১৪মার্চ থেকে ২২মার্চ পর্যন্ত প্লাস্টিক সার্জারী (ঠোট/তালু কাটা ও পোড়া) রোগীদের এই সেবা প্রদান করা হবে। রংধনু ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ায় মানুষের দৃষ্টি এখন কুতুবদিয়া চ্যানেলের দিকে। সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ও অনগ্রসর মানুষগুলো সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পেকুয়া ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন রোগিরা। জানতে চাইলে রংধনু ফ্রেন্ডশীপ ভাসমান হাসপাতালের ক্যাপ্টেন (মাষ্টার) আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন মানুষ প্রচুর আসছে। কিন্তু সঠিক সেবার জন্য তাদেরকে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে প্রতিদিন ২৫০-৩০০জনকে। রোগি ভীড় থাকা পর্যন্ত তারা সাগরের ওই নির্দ্দিষ্ট পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

#################

পেকুয়ায় আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিয়ে আবারো বিভক্তি : বীর মুক্তিযুদ্ধা এ্যাড: কামাল হোসেন লাঞ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া::

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিয়ে আবারো বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সাত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাঁচায় প্রক্রিয়া ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদ নিয়ে এ বিভক্তি দেখা দেয়। গতকাল ২০ ফেযব্রুয়ারী উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযুদ্ধা এ্যাড: কামাল হোসেনকে লাঞ্চিত করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। এ নিয়ে তৃণমূলের আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়ে চরম ক্ষোভ।

জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভাপতি আ.ক.ম সাহাবউদ্দিন ফরায়েজী ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। তৎক্ষানিক উপজেলা আওয়ামীলীগের এক বর্ধিত সভায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার আজমগীর চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে মনোনিত করে। কিন্তু বিষয়টি সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বখতিয়ার চৌধুরী ও তার অনুসারীরা মেনে নিতে না পেরে জেলা আওয়ামীলীগের ধারস্ত হয়। জেলা আওয়ামীলীগ বিষয়টি সুরাহা করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্টে এ্যাড: কামাল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি নামসহ দেওয়ার সুপারিশ করলে তৎক্ষালিন জেলা কমিটি তা অনুমোদন করে পত্রিকায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। এরপরও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ও তার অনুসারীরা তা অবৈধ ঘোষনা দিয়ে প্রত্যাখান করে। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি ঘোষিত হলে তারাও এ্যাড: কামাল হোসেনকে সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) ও আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করার মৌখিকভাবে নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে আরো জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড:কামাল হোসেন, সাবেক জেলা সদস্য গিয়াসউদ্দিনসহ বর্তমান কমিটি অনেক নেতা ২১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা, মানবন্ধন ও আসন্ন ইউপির একক প্রার্থী মনোনয়নে জরুরী বর্ধিত সভা আয়োজন করে। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম তা প্রত্যাখান করে ২০ ফেব্রুয়ারী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রধান কার্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্দেগে এক জরুরী বর্ধিত সভার আয়োজন করে। এ সভায়ও এ্যাড: কামাল হোসেন উপস্থিত হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা ছৈয়দুল হক বীর মুক্তিযুদ্ধা এ্যাড: কামাল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে সম্মোধন করে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করলে সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম তাকে থামিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজমগীর চৌধুরী বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে। এ সময় তিনি এ্যাড: কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে জেলা কমিটির কোন কাগজপত্র রয়েছে কিনা। তখন ছৈয়দুল হক জানান, পত্রিকায় জেলা কমিটির প্রেস রয়েছে। তখন সাধারণ সম্পাদক পত্রিকার প্রেস প্রত্যাখান করে বলেন, এ্যাড: কামাল হোসেনকে যারা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে সম্মোধন করবেন তারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। না হলে আমি সভা বন্ধ করে দিব। এ অপমান সহ্য করতে না ফেরে ওই বীর মুক্তিযুদ্ধা নিরবে চোঁখের পানি ফেলে কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য গিয়াসউদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত থাকলে কোন ধরণের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড: কামাল হোসেন চরম আপেক্ষের সুরে বলেন, মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে আমরা দেশ স্বাধীন করার জন্যতো কোন বিনিময় চাইনি। এখানেও আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হতে চাইনি। কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগ আমাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে মনোনিত করে বিশৃংখল এ কমিটিকে শৃংখলা ফিরিয়ে এনে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে স্বচ্ছ প্রার্থী বাঁচাইয়ের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তাই বলে সবার সামনে আমাবে এভাবে অপমান ও লাঞ্চিত করা কিছুতেই সহ্য হচ্ছেনা। বিষয়টি আমি জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে অবগত করেছি। এদিকে পেকুয়া আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় এ নেতার চরম অপমান ও লাঞ্চনা কিছুতেই সহ্য করতে পারছেনা তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তার এঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের হস্তক্ষেপ কামনা করে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছে।

 ################

রাজাখালী ইউপি নির্বাচন অনিশ্চিত!

স্টাফ রিপোর্টার,পেকুয়া:

পেকুয়ায় রাজাখালী ইউপি নির্বাচন অনিশ্চিতের গুঞ্জন উঠেছে। ফলে, নির্বাচন কমিশনের সদ্য ঘোষিত ইউপি নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। জানা যায়, রাজাখালীর ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের বিষয় নিয়ে কু’চক্রী মহলের মিথ্যাচার ষড়যন্ত্রের প্রতিকার কামনায় বর্তমান চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বিএ উচ্চ আদালতে রীট পিটিশান দায়ের করেন। মহামান্য উচ্চ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি নিয়ে প্রথম দফায় কিছু দিনের সময় দিলেও নির্দ্দিষ্ট সময়ে তার শুনানী কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় পুনরায় আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রীট নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারন করেন। এদিকে, নির্বাচন কমিশন ২য় দফার ইউপি নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলার ৭ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্টানের তপশীল ঘোষনা করে। কিন্তু উচ্চ আদালতে রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যানের দায়েরকৃত রীট পিটিশান নিষ্পত্তি সম্পন্ন না হওয়ায় রাজাখালী ইউপি নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়েছে আইনী জটিলতা ও অনিশ্চয়তা। রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যানও এতে একমত প্রকাশ করে বলেন, আমরা কেউই আইন আদালতের উর্ধ্বে নয়। দায়েরকৃত রীট পিটিশানের শুনানীর তারিখ যেহেতু এপ্রিল মাসে নির্ধারিত রয়েছে বিধায় এ নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজী নয়। পেকুয়ার ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।

######################

পেকুয়ায় মসজিদের জমিতে ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনা!

স্টাফ রিপোর্টার :

পেকুয়ায় বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা এলাকায় মসজিদের জায়গায় ব্যক্তিমালিকানাধীন অবৈধ স্থাপনা রাতেই নির্মিত করছে এক প্রভাবশালী। মসজিদের নামে সম্পত্তি ওয়াকফ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির ওয়াশিলা নিয়ে মসজিদ পরিচালনা ও ধর্মীয় কাজে অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে। সম্প্রতি দুই বিএনপি নেতা ভুয়া দলিল সৃজন করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ওই জমি রাতেই দখলে নিয়েছে তারা। গত ৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে স্বশস্ত্র লোকজনকে নিয়ে বারাইয়াকাটা এলাকার মো.হোছেনের ছেলে ও শিবির ক্যাডার ফোরকানের নেতৃত্বে নুরুল আমিন, ওসমান, কফিল, মামুন, শাহাব উদ্দিন, আলমগীর, মিজান, ছৈয়দ নুর, এয়াকুব নবী, জসিম উদ্দিন, বদিউল আলমসহ ২০/২৫জন দূবৃর্ত্তরা উক্ত জমি দখলে নিয়েছে। জানাগেছে, সাবেক শিবির ক্যাডার ফোরকান তার দু’ভগ্নিপতি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা এলাকার মৃত.তোফাইল আহমদের ছেলে ও বিএনপি নেতা আবু তাহের মনু ও গোয়াখালী গ্রামের মৃত.এমদাদ মিয়ার ছেলে নুরুল হকের পক্ষে ভাড়াটে হিসেবে গিয়ে ওই জমি দখল করে। এদিকে বিএনপি নেতাদের নেতৃত্বে ভাড়াটে অস্ত্রধারীরা রাতেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদের জমিতে অনুপ্রবেশ করে। এসময় এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে ২০/২৫জনের ওই দূবৃর্ত্তরা মসজিদের জমিতে রাতে একটি টিনের কুড়েঘর নির্মাণ করে। এমনকি দখল আধিপাত্য নিয়ন্ত্রন রাখতে তারা এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের লাগোয়া ৫৭শতক নাল জমিতে বোরো চাষের উঠতি রোপা নষ্ট করে জমির চর্তুপাশে তারের ঘিরা সৃজিত করেছে। রাতে ওই জমিতে কিছু কলা গাছও রোপন করে। অপরদিকে মসজিদের জমিতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখল নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এনিয়ে শত শত মুসল্লী ও মহল্লা কমিটির স্থানীয়রা চরমভাবে ক্ষেপেছেন। দু’পক্ষের মধ্যে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছেন স্থানীয়রা। ওয়াকিব দলিল দাতা পক্ষ গত কিছুদিন আগে দখলের জন্য সন্ত্রাসীরা অবস্থান নেন। এসময় মসজিদ কমিটি ১৪৪ধারা বলবৎ চেয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, ওই এলাকার দানশীল ব্যক্তি রেজাউল করিম বিগত ১৯৯৬সালে কাদিমাকাটা জামে মসজিদের জন্য জমি দান করেন। মিরাজ সুত্রে প্রাপ্ত ওই অংশ মৃত.ছৈয়দ নুরের ছেলে মোকতার আহমদ তার দুই ভাই রেজাউল করিম ও ইদ্রিসকে বিগত ১৯৯৩ ইং সালে বিক্রি করে। যার দলিল নং ১৮১৮। যার তপশিল বারবাকিয়া মৌজার বি.এস ৪০৫নং খতিয়ানের ৮২৭৯নং দাগের আন্দর ৫৭শতক জমি। মোকতার আহমদ ১৯৯৬ ও ১৯৯৩সালে ওই সম্পত্তি পৃথক কবলামুলে বিক্রি করে নিস্বার্থবান হয়ে যান। তবে মিরাজ সুত্র প্রাপ্ত অংশ বিক্রি করলেও সাবেক খতিয়ান থেকে উক্ত সম্পত্তি কর্তন হয়নি। বিশেষ করে জমাভাগ খতিয়ান সৃজিত করেননি রেজাউল করিম ও ইদ্রিস গং। পরে কৌশলে বিক্রেতা মোকতার একই জায়গা তথ্য গোপন করে জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করে। এমনকি ২০১২সালে তার ছেলে সোহেল দানপত্র করেন কিছু অংশ। অবশিষ্ট অংশ স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ভুয়া দলিল দিয়ে বিক্রি করেন। অপরদিকে চতুর্থ কবলার পর একই সম্পত্তি ফের তথ্য গোপন করে বিএনপি নেতা আবু তাহের মনু ও নুরুল হক নামের এদুজনকে বিক্রি করেন। দীর্ঘদিনের মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত ওই সম্পত্তি ওইদিন আবু তাহের মনু ও নুরুল হকের পক্ষ হয়ে তাদের শ্যালক বারাইয়াকাটা এলাকার মো.হোছেনের ছেলে ফোরকানসহ উল্লেখিত ভাড়াটে লোকজন রাতের আধারে দখল করেছে। মসজিদের মতোয়াল্লি আকতার হোসেন জানিয়েছেন, মসজিদের অনুকুলে আমাদের পরিবার অনেক জায়গা ওয়াকফ করেন। কিন্তু প্রতারক চক্র ভুয়া দলিল সৃজন করে জমি রাতের আধারে দখলে নিয়েছে। তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাদের পক্ষে মসজিদের এ সম্পত্তি জবর দখল করেছে। অবস্থার অবনতি দেখতে পেয়ে আমরা ১৪৪ধারা করেছি। কিন্তু এরপরেও ওই চক্র জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে ফেলেছে। আমরা এব্যাপারে প্রশাসনের আইনী সহায়তা চাই। জবরদখল স্থাপনা অবিলম্বে অপসারনের জন্য প্রশাসন নির্দেশ দেবেন এ প্রতীক্ষায়।

পাঠকের মতামত: