ঢাকা,বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সিটি কলেজের সম্বর্ধনাসভায় মংছেনচীং মংছিন

mail.google.comপ্রেস বিজ্ঞপ্তি ::

গতকাল (রবিবার) বেলা ১১টায় কক্সবাজার সিটি কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্বর্ধণা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০১৬ সালের একুশে পদক প্রাপ্ত কক্সবাজারের কৃতি সন্তান মং ছেন চীং মংছিন। অধ্যক্ষ ক্য থিং অং এর সভাপতিত্বে এবং বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শরমিন ছিদ্দিকার সঞ্চালনায় একুশের পদক প্রাপ্ত মং ছেন চীং মংছিনের সম্মাণে কক্সবাজার সিটি কলেজ আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন মানুষের ভালবাসাকে পাথেয় হিসেবে নিয়ে সারা জীবন সমাজের মঙ্গলের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। তিনি আরও বলেন আশাবাদী মানুষ সব সময়ই ভাল দিনের প্রত্যাশায় থাকে। তাই কোন অবস্থায়ই নিজেকে হতাশাগ্রস্থ হতে নেই। অব্যাহত প্রচেষ্টা মানুষকে সাফল্যে শিখরে নিয়ে যায়। তাই কলেজের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উচিত লক্ষ্য স্থির রেখে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। সাফল্য অবশ্যই এক সময় এসে ধরা দেবে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ আবু মোঃ জাফর সাদেক, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক গোপাল কৃষ্ণ দাশ, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শাহানুর আক্তার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মং ম্রা ছিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আক্তার উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ। বক্তাগণ বলেন কক্সবাজার জেলাটাই মেধাবী ও গুণী মানুষের উর্বর ভূমি। কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলা থেকে জাতিসত্ত্বা কবি নুরুল হুদা, বৌদ্ধ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরো এবং কীর্তিমান গবেষক মং ছেন চীং একুশে পদক পেয়ে আমাদের কক্সবাজারের সম্মানকে নিয়ে গেছে চুড়ান্ত শিখরের। এমন কীর্তিমানদের জন্ম ও বেড়ে উঠার এলাকায় বসবাসের সূযোগ পাওয়াটাও সৌভাগ্যে। সম্বর্ধনা সভা শুরুতে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ফুল দিয়ে সম্বর্ধিত অতিথি মং ছেন চীং মংছিনকে বরণ করে নেন। সভা শেষে কলেজের স্মারক হিসেব অতিথিকে ক্রেষ্ট প্রদান করেন কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিংঅং এবং বাংলা বিভাগের স্মারক হিসেবে ক্রেষ্ট প্রদান করেন অধ্যাপক শরমিন ছিদ্দিকা। জবাবে সম্বর্ধিত অতিথি মং ছেন চীং মংছিনও তাঁর গবেষনার কিছু বই কলেজের লাইব্রেরীর জন্য অধ্যক্ষকে প্রদান করেন।

পাঠকের মতামত: