ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার উপকূলে ২৭৭ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প ফাইল বন্দি

ৃৃৃৃৃৃসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) প্রতিনিধি ::

দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আটকে আছে কক্সবাজার উপকূলে ২৭৭টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। ২০০৮ সালের ৮ মার্চ প্রস্তাব আকারে ফাইলটি পাঠানো হয়েছিল ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ে। কিন্তু এখনো এ প্রকল্পের কোন অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে জেলায় ৫৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও এর মধ্যে ৪১টি পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। বাকী ৫১৬ টির মধ্যে ২২৩টি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রক্ষণাবেক্ষনেও নেই কোন বরাদ্দ।

কক্সবাজার ত্রাণ ও পুর্নবাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালের প্রলংয়করী ঘূর্ণিঝড়ের পর কক্সবাজার উপকূলে ৫৩৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থা। এর পর থেকে আর কোন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মিত হয়নি। কিন্তু ১৯৯১ সালের সেই ট্র্যাজেডির ২৪ বছর পর ৫৩৪ আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ৪১টি পরিত্যক্ত ও ২২৩ টি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া অবৈধ দখলে চলে গেছে অর্ধশতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র। এসব রক্ষণাবেক্ষন ও সংস্কারে নেই কোন উদ্যোগ।

গত ২৪ বছরে জনসংখ্যাও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। কিন্তু বাড়েনি আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা। গত ২০০৮ সালের ৮ মার্চ কক্সবাজার জেলায় নতুন করে ২৭৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২৭৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে কক্সবাজার সদরে ২৭টি, রামুতে ১৪টি, চকরিয়ায় ৩১টি, পেকুয়ায় ৪৬টি, মহেশখালীতে ৬৯টি, কুতুবদিয়ায় ৩২টি, উখিয়ায় ২৩টি ও টেকনাফে ৩৫টি। কিন্তু গত ৭ বছরেও এর কোন অগ্রগতি হয়নি।

বতর্মানে কক্সবাজার উপকূলে ৫১৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪০ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার সদরে ৫৯টিতে ধারণ ক্ষমতা ৪৫ হাজার ১০০ জন, রামুতে ৩১টিতে ধারণ ক্ষমতা ১৮ হাজার ৫শ ১১ জন, চকরিয়ায় ৮১টিতে এক লাখ ৩০০ জন, পেকুয়ায় ৬৮টিতে এক লাখ ২২ হাজার ১৫০ জন, মহেশখালীতে ১২৩টিতে ৭৪ হাজার ২৫০ জন, কুতুবদিয়ায় ৯১টিতে ৭০ হাজার ৩৫০, উখিয়ায় ৪১টিতে ৪১ হাজার এবং টেকনাফে ৪০টিতে ৪৪ হাজার ২২ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এদিকে কক্সবাজার উপকূলের প্রায় ২৫ লাখ মানুষের জন্য এসব আশ্রয় কেন্দ্র একেবারেই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যার কারণে ঝুঁকিতে আছেন এসব মানুষ।

এ বিষয়ে কক্সবাজার ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭/৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নতুন অর্থ বছরে আরো ১০/১২ টি আশ্রয় কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

পাঠকের মতামত: