ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্থাপনা নির্মাণ

ovijogফারুক আহমদ,

কক্সবাজার পর্যটন শহরে অনুমোদনহীন স্থাপনা নির্মাণ বেড়ে চলেছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে যত্রতত্রভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় শহর উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে কঠিন অসুবিধার সম্মুখীন হবেন এমনটা মনে করছেন, পরিবেশবাদী সংগঠন। আধুনিকায়ন শহর গড়তে অনুমোদিতহীন ভাবে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কঠোর মনিটরিং জোরদার করার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট দাবী জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারকে পর্যটন শহরে পরিণত করতে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের রুপান্তর, মহেশখালী মাতারবাড়ীতে কয়লা বিদ্যুৎ খনি, সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্ধর, টেকনাফের সাবরাংয়ে এক্সক্লুসিভ পর্যটন কেন্দ্র, দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন, কক্সবাজারে ৮টি অর্থনৈতকি আঞ্চলিক জোন সহ মহা-পরিকল্পনার কাজ এগিয়ে চলছে। উক্ত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে শত শত কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, কক্সবাজারকে আধুনিকায়ন ও পর্যটন শহর গড়ে তুলতে গঠন করা হয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ইতি মধ্যে জেলা প্রশাসকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কারীগরি উপ-কমিটি।

সচেতন নাগরিক সমাজের সাথে কথা বলে জানা যায়, কক্সবাজার শহরে এবং পৌর সভার রাস্তার দু’ধারে স্থাপনা ও বহুতল ভবন নির্মাণ করতে কক্সবাজার উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন রয়েছে। কোন অবস্থাতে বিনা অনুমোদিত ভাবে স্থাপনা বা ভবন নির্মাণ করা যাবে না।

গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে রাস্তার ধারে কক্সবাজার উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন না নিয়েই স্থাপনা নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রফিকুল আলম চৌধুরী নামক এক ব্যক্তি রাস্তার ধারে লাগোয়া জায়গায় বহুতল ভবন বা স্থাপনা তৈরি করার জন্য নির্মাণ সামগ্রী মজুত করেছে। যেকোন সময় কাজ শুরু করতে পারে। এদিকে রাতারাতি স্থাপনা নির্মাণের পাঁয়তারা শুরু করলে স্থানীয় সচেতন জনগণের পক্ষে অনুমোদনহীন নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য গত ২৪ এপ্রিল রবিবার কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, যেকোন নির্মাণ কাজ শুরু করার পূর্বেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, শহরকে আধুনিকায়ন ও সড়ক সম্প্রসারণ করার জন্য সড়কের দু’ধারে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের সামনে রাস্তার ধারে স্থাপনা নির্মাণ বা বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ শহর আধুনিকায়নে বড় ধরনের বাঁধাগ্রস্থের সম্মুখীন হবে।

সুশীল সমাজের মতে, কক্সবাজার পর্যটন শহরের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমোদিত নতুন করে স্থাপনা বা বহুতল ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে।

############

 উখিয়ার নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে আ”লীগ প্রার্থীরা এখন ঢাকায়

ফারুক আহমদ,

উখিয়া আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করছে। দলীয় মনোনয়নে নৌকা মার্কা নিশ্চিত করার জন্য শেষ মহুর্তে লবিং করতে হেভি ওয়াঢ প্রার্থীরা ঢাকায় চলে গেছে। উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে বশে করে মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে প্রার্থীরা এ মিশনে নেমে পড়েছে।

জানা যায়, বর্তমান সরকার স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করায় প্রার্থীরা এখন মহা বে-কায়দায়। ভোটারদের সমর্থনের চেয়ে প্রার্থীদের বেশি ধর্না দিতে হচ্ছে জেলা ও উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নিকট। তাদের আর্শিবাদ নেওয়ার জন্য রাত দিন তাদের বাসা বাড়ীতে একাধিকবার হাজিরা দেয় সম্ভাব্য আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ২০ জনের অধিক। তৎ মধ্যে ১নং জালিয়াপালং ইউনিয়নে, সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম ছৈয়দ আলম, এডভোকেট রুহুল আমিন চৌধুরী রাসেল, ২নং রতœাপালং ইউনিয়নে আবুল মনসুর চৌধুরী, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক তাসহিদ চৌধুরী ছোটন, ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, ৩নং হলদিয়াপালং ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন মিন্টু, ইমরুল কায়েস চৌধুরী, অধ্যক্ষ শাহ আলম, আমিনুল হক আমিন ও গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ৫নং পালংখালী ইউনিয়নে শাহাদত হোসেন জুয়েল ও আলী আহমদ।

আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, গত রবিবার উখিয়ার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত সুপারিশ কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ডে প্রেরন করা হয়েছে।

এ খবর চার দিকে চাওর হলে সম্ভাব্য আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা ঢাকার মিশন শুরু করে। গত রবিবার ও গতকাল সোমবার কক্সবাজার হতে বিমান যোগে ঢাকায় ফাড়ি জমিয়েছে এক ডজন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী প্রার্থী। ঢাকায় গিয়ে প্রার্থীরা লবিং করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে এমন কথা জানিয়েছে নিজেরা।

বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন, আবুল মনসুর চৌধুরী, ইমরুল কায়েস চৌধুরী, এস.এম ছৈয়দ আলম, কামাল উদ্দিন মিন্টু, অধ্যক্ষ শাহ আলম, আমিনুল হক আমিন, তাসহিদ চৌধুরী ছোটন, শাহাদত হোসেন জুয়েল, আলী আহমদসহ অন্তত ৫০ জনের অধিক আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা।

ঢাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, আওয়ামীলীগের মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় নেতা ও বর্তমান সরকারের ক্ষমতাধর আমলার সাথে যোগাযোগ ও স্বাক্ষাতের চেষ্টা করছেন উখিয়ার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা। বলতে গেলে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা কোমরে কাপড় বেঁধে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দৌড়ঝাপ দেখে ভোটারদের মাঝে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে।

##

পাঠকের মতামত: