ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে স্বামী হত্যার পলাতক আসামি রুমি অবশেষে আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় মোঃ রিদুয়ান এর সাথে প্রায় দেড় বছর পূর্বে আসামী রুমি আক্তার(২৫) এর বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই অশান্তি ও কলহ বিরাজমান ছিল।

সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট অনলাইনে লুডু খেলা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুমি আক্তার এবং তার মা-বাবা ও ভাই তাদের প্রতিবেশী মোঃ মালেক (৪৬) কে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করে।

রুমি আক্তারকে উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম এজাহারনামীয় আসামী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

কিন্তু গত ১৭ অক্টোবর রুমি আক্তার জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তি পেয়ে সে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় এবং কথিত প্রেমিকদের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রুমি আক্তারের সাথে তার স্বামীর এসব বিষয় নিয়ে প্রায় সময়ই ঝগড়া ও দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত।

দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে রুমি আক্তার তার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খাটের উপর কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে বাইরে হতে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

পরদিন আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১ টায় ভিকটিমের মা-বাবা এবং আত্মীয় স্বজন উক্ত ঘর হতে ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একজন নামীয় এবং অজ্ঞাতমনামা আরও ৮/১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৯, তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

হত্যাকান্ডের ঘটনাটি নিয়ে র‌্যাব-৭ উক্ত মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী রুমি আক্তারকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা ও ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।

নজরধারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭ জানতে পারে আসামী রুমি আক্তার চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন মিঠাছড়া এলাকায় একটি ফ্লাট বাড়িতে অবস্থান করছে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ এর একটি দল গত ১১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১ টায় উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী রুমি আক্তারকে আটক করতে সক্ষম হয়।

সে পেকুয়া উপজেলার বাজারপাড়ার মৃত মোঃ তাজুর মেয়ে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী রুমি আক্তার স্বীকার করে যে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে সে তার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

র‌্যাব-৭ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: