ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের কর্ম বিরতি

coxsসংবাদ বিজ্ঞপ্তি :::

চাকরী থেকে ছাঁটাই বন্ধ ও স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে কক্সবাজার পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) অধীনে কর্মরত মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা।

এ দাবীতে শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে তারা সমিতির কক্সবাজার সদর কাার্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ করছে।

‘মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারবৃন্দ’ ব্যানারে প্রায় একশ কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের কক্সবাজার অফিস প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন। প্রতিদিন তারা অফিসে গেলেও কর্মস্থলে যোগদান না করে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় তারা চুক্তি নবায়ন, চাকুরি স্থায়ীকরণ ও ২-৩ গুণ কাজের বোঝা না চাপানোর দাবি তুলেন।

শনিবারও আন্দোলনকারীরা ব্যানার, ফেস্টুন সহকারে কক্সবাজার পল্লি বিদ্যুত সমিতির কার্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এরপর তারা সেখানে চাকুরী থেকে ছাঁটাই বন্ধ, চুক্তি নবায়ন, চাকুরী স্থায়ী করণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে ¯ে¬াগান দেন। পরে তারা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সেখানে অবস্থান নেন।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বিক্ষোভকারীরা বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী চুক্তি অনুযায়ী মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা সর্বোচ্চ ৯ বছর কাজ করতে পারবে। সন্তোষজনকভাবে চাকুরি স¤পাদন করলে অন্য সমিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ এবং এভাবে ৫৫ বছর পর্যন্ত একজন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার চাকুরি করতে পারার বিধান রয়েছে।

তাছাড়া বর্তমান সরকার আমলে ২০১৩ সালে শ্রম সংশোধনী আইনের ৪নং ধারার ১১নং উপধারায় উলেখ করেছে, কোন স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য অস্থায়ী কর্মচারী, দৈনিক ভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ দেয়া যাবেনা।

এ সংশোধীর পরই কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে কর্মরত ৮৩ জন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের মাঝে গণছাটাইয়ের আতংক বিরাজ করছে। কারণ এদের অনেকের চুক্তির তিনবছর মেয়াদ শেষ হলেও কর্তৃপক্ষ চুক্তি নবায়ন ও চাকুরী নিয়মিত করছেনা। বরং কাজের চাপ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ৫ অফিস থেকে প্রায় ৩০ জন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারের চাকুরি নবায়ন করা হয়নি। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় পার করছে।

আন্দোলনকারীরা আরো জানান, সারা দেশে প্রায় ১৯ হাজার মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে প্রতি মাসে দুই হাজার করে মিটার রিডিং নেয়ার কথা। এভাবেই তাঁদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ ডিসেম্বরের পর থেকে তাঁদের প্রত্যেককে চার হাজার মিটার রিডিং করতে হবে। এ জন্য একটি অফিস আদেশ জারি করতে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এর মাধ্যমে তাঁদের ছাঁটাই করার পাঁয়তারা চলছে। আগের চুক্তি রেখে তাদের ছাঁটাই না করার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

আন্দোলনের বিষয়ে পলী বিদ্যুৎ সমিতি, কক্সবাজারের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) নুর মোহাম্মদ আজম মজুমদার বলেন, মিটার রিডারদের চুক্তির নয় বছরই তারা চাকুরী করতে পারবে। তাদের ছাটাইয়ের কোন পরিকল্পনা সমিতির নেই। প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিষ্টানের কিছু কিছু বাড়তি দায়িত্ব পালন কর্তব্যের মাঝে পড়ে। সেসবকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে তারা বিক্ষোভ করছে। যা শোভনীয় নয়।

পাঠকের মতামত: