আরফাতুল মজিদ, কক্সবাজার :
ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে কক্সবাজারের দুই সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চুক্তিভিত্তিক কোচিং বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছে অনেক শিক্ষক। একমাসের জন্য নির্দিষ্ট অংকের চুক্তিতে গাদাগাদি করেই শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে রুমে। সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় ডজন শিক্ষক নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই প্লাটে মিনি স্কুলে পরিণত করেছে।
এদিকে এমন অভিযোগ পেয়েই মঙ্গলবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিংঙ্কা ও নাছরিন বেগম সেতু। আদালতের অভিযানে প্লাটে শিক্ষার্থীদের রেখেই কৌশলে পালিয়ে যান দুই স্কুলের প্রায় এক ডজন শিক্ষক। এছাড়া এক পাশে অভিযানের খবরে অন্যপাশের অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দিয়ে রুম বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিংঙ্কা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের গোলদিঘীর পাড়স্থ উকিল পাড়ায় কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু সুফিয়ান ও আনোয়ারুল আজিমের কোচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় কোচিং সেন্টারে এই দুই শিক্ষকদের পড়ানো অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাওয়া যায়। এই দুই শিক্ষককে প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে। যাতে এমন গাদাগাদি ও নিয়ন না মেনেই কোচিং না করাতেই। একই সময় পাশের আর দুই বিল্ডিংয়ের ফ্লাটে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২শিক্ষকের কোচিংয়ে সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের আগেই টের পেয়ে এই দুই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের রেখেই পালিয়ে যায়।
জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা বলেন, প্রথমবারের মতো যাদের পাওয়া গেছে এসব শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। এবং যেসব শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরেই অভিযোগ করা হবে। এছাড়া অভিযান চলাকালিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক শিক্ষক কোচিং সেন্টার বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে বলে তিনি জানান।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার সালেহ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমি দেখেই অবাক হয়েছি, এভাবে শিক্ষকরা কোচিং করায়”। এমন গাদাগাদি ও চুক্তিভিক্তিক শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো সত্যিই লজ্জাজনক। এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: