ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

এমপি বদির নিমন্ত্রণে সেন্টমার্টিনে আওয়ামীলীগ ও সাংবাদিকদের মিলন মেলা

Coxbazar--768x431ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনের জনপ্রিয় সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদির নিমন্ত্রণে উখিয়া প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিয়ে এক মিলন মেলার আয়োজন করা হয়েছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপে। গত ৫ ফেব্র“য়ারী সকাল ৯ টায় পানির জাহাজে করে সরকার দলীয় নেতা কর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়ে যখন সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে তখন নাফ নদীতে পর্যটক বাহী জাহাজের সাথে পাল্লা দিয়ে ডানা মেলে চক্রাকারে উড়ে বেড়ানো, কখনো বা খুনসুটি আর ডুবসাতাঁর। পাখিদের এ কলতানে মুগ্ধ সাংসদ, সাংবাদিক, দলীয় নেতাকর্মী ও পর্যটকেরা। পর্যটকদের দেয়া পটেটো সিপ খেতে খেতে পাখিগুলো ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়ে পৌঁছে। এ যেন এক রোমাঞ্চকর অনুভুতি। প্রতি বছর শীতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে পাখিরা ভিড় করে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন-এ নাফ নদীতে। পর্যটকদের আনন্দ দেয় এই পাখিগুলো। ঢাকা থেকে আগত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের সাথে ভাব জমায়। আলাপচারিতায় এস এ টিভির কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি আহসান সুমন তার অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা থেকে আগত পর্যটকদের সাথে স্বল্প সময়ের পরিচয়ে ক্ষণকালের সান্নিধ্যে মহাকালের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে। ঢাকা কলেজের ছাত্রী এলিনা তার অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, দেশের সর্ব দক্ষিনে একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে এসে হুমায়ুন আহমদ স্যারকে যেন খুঁজে পেলাম। এখানে তাঁর স্মৃতি চিহ্ন অমলীন হয়ে থাকবে। স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাক আহমদ বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে এ এলাকায় পর্যটকদের আগমনে মানুষের যেন ভাগ্য ফিরে আসে। রিক্সা চালক মনিরুল ইসলাম জানান, এ সময়ে প্রতিদিন আমার এক থেকে দেড় হাজার টাকা ইনকাম হয়। এখানে পর্যটকদের পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম এই রিক্সা। স্থানীয় সাংসদ আব্দুর রহমান বদি বলেন, একগুয়েমী ভাব কাটানোর জন্য প্রত্যেক মানুষের বিনোদন প্রয়োজন। কক্সবাজার জেলার বিনোদনের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোর মধ্যে সেন্টমার্টিন অন্যতম। এখানে পর্যটকরা তাদের আনন্দের পূর্ণতা খুঁজে পায়। সেন্টমার্টিন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পর্যটকেরা জাহাজের বারান্দায়, দাড়িঁয়ে পাখি দেখছেন আর ছবি তুলছেন। জাহাজে করে পর্যটকদের যাত্রার সঙ্গে সঙ্গে যেন পাখিদেরও কর্মব্যস্ততা শুরু হয়। পটেটো সিপ খেয়ে, ডুবসাতাঁর দিয়ে কিংবা খুনসুটি মকরে আনন্দ দিতে থাকে পর্যটকদের। পাখিগুলো মনের আনন্দে ধীরগতিতে চলা, রোদের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলতে শুরু কর তাদের ডানা। কখনো মুক্ত আকাশে আবার পর্যটকদের কাছাকাছি থেকে এপার থেকে ওপারে আসা যাওয়া যেন তাদের নিত্য দিনের কাজ।

পাঠকের মতামত: