কক্সবাজারের উখিয়ায় ৫ টি ইউনিয়নের ৪৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ৩৪ টি ভোট কেন্দ্রকে অধিক ঝুকিঁপূর্ণ মনে করছেন। প্রার্থীরাও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ৪ জুন ৫ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। প্রার্থীরাও ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ওই দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা নিজের ভোট দিতে পারবে কিনা সংকোশিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, রাজাপালং, রতœাপালং, হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং, পালংখালী ইউনিয়নের ৪৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪ টি কেন্দ্রকে ঝুঁিকপূর্ণ ধরা হয়েছে। এ দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী গত ২৮ মে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিপক্ষ ধানের শীষের প্রার্থী তারেক মাহমুদ চৌধুরী রাজিবের পক্ষে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সশস্ত্র বিএনপি জামায়াত ক্যাডার নিয়ে তার ভোটারদের হুমকি, ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রধানসহ নানবিধ কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। উল্লেখ্য যে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালুগুদের বাধা প্রধান সহ হরিণমারা ও উত্তর পুকুরিয়া ভোট কেন্দ্রে একটি ভোটও প্রদান করতে দেয়নি। একই ভাবে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা, উত্তর পুকুরিয়া, রাজাপালং মাদ্রাসা, তুতুর বিল, খয়রাতি পাড়া কেন্দ্র সংখ্যাগুলো সমূহ সাধারন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে আগাম ভয়ভীতি প্রদান সহ নানাবিধ ষড়যন্ত্র মোখাবেলায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, জামায়াত নেতা ও বৌদ্ধ মন্দির হামলার অন্যতম আসামী এডঃ শাহজালাল চৌধুরী , উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী সহ তাদের ক্যাডার বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত এনে ইসালামের নামে ধর্মপ্রান মুসলিমদের উস্কানিমক বক্তব্য প্রদান করে তার ভোটারদের বিভ্রান্তি করার পাশা পাশি হুমকি প্রদান করছে। তিনি প্রত্যকটি কেন্দ্রে ১ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে অতিরিক্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়ন করার দাবি জানিয়েছেন। অপর দিকে রতœাপালং ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা না হলে, পশ্চিম রতœা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, করইবনিয়া কেন্দ্র, তেলীপাড়া মোজাহের মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, রতœাপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার প্রতিপক্ষের প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালেট বক্্র ছিনতায় করার সম্ভবনা রয়েছে। ইতি মধ্যে তাকে সরকার দলীয় ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি ধ্বমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। একই ভাবে ভোটের আগের রাত ভালুকিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র,
থিমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন বোমাবাজি করে সাধারন ভোটারদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করতে পারে। পালংখালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহম্মদ বলেন, ভোটের আগের রাতেই সরকার দলীয় প্রার্থী সাহাদাৎ হোসেন জুয়েল প্রভাব কাঠিয়ে ব্যালেড বাক্স ভর্তি করতে পারে। তাই তিনি তার ইউনিয়নের ৭,৮,৯, ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র গুলোতে আইনশৃংলা বাহিনীর অধিক নিরাপত্তা জোরদার করার দাবী জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট সুষ্ট, নিরপক্ষ নির্বাচন করার লক্ষে ৯ জন ম্যাজিষ্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী চাওয়া হয়েছে।
#####################
কুতুপালংয়ের উন্নয়নকে ধরে রাখতে মোরগ মার্কায় ভোট দিন বখতিয়ার আহম্মদ
মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া ::
উখিয়ার সর্বত্রে নির্বাচনী মাঠ যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় দিন দিন আরো সরঘরম হয়ে উঠতে শুরু করেছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের সাবেক সফল মেম্বার প্রার্থী এলাকার গরিব দঃখী মানুষের পরম বন্ধু, দানবীর বখতিয়ার আহম্মদ কুতুপালং ৯ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি অলি গলি থেকে শুরু করে সর্বত্রে তার মোরগ মার্কার সমর্থনে সাধারন ভোটাদের কাছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনার দৌড়ে ব্যাপক এগিয়ে রয়েছে। তার নির্বাচনী প্রচারনার মাঠে ব্যাপক গণজোয়ার রয়েছে। গতকাল রাত ৮ টার দিকে মোরগ মার্কার মেম্বার প্রার্থী মানব দরদী বখতিয়ার মেম্বার ওয়ার্ডের পাতাবাড়ী শৈলের ঢেবা এলাকায় পৌছলে সে ওয়ার্ডের শত শত ভোটাররাদের ভাল বাসায় সিক্ত হওয়ার পাশা পাশি ওই এলাকাটি জনসমুদ্রে পরিনত হয়। শুধু তাই নয়, সাধারন ভোটাররা দীর্ঘ ৫ বছর পর বখতিয়ার মেম্বারকে মেম্বার প্রার্থী হিসাবে কাছে পেয়ে সন্তুষ প্রকাশ করেছেন । এলাকার সাধারন ভোটাররা প্রতিবেদককে বলেন, রাজাপালং ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্ধকৃত সরকারী অর্থ হরিলুট, লুটপাট ও দূর্ণীতিমূক্ত সমাজ গঠনকল্পে বখতিয়ার আহম্মদের বিকল্প নেই। তাই এলাকার সর্বস্তরের ভোটাররা বর্তমানে বখতিয়ার আহম্মদের পদচারনায় বিভুর। মেম্বার প্রার্থী বখতিয়ার আহম্মদ বলেন, সে মেম্বার নির্বাচিত হলে প্রথমেই অত্র ৯ নং ওয়ার্ডের পাতাবাড়ী শৈলের ঢেবা এলাকার বড়–য়া সমাজের দাবীকৃত শশ্বান, ক্লাব ঘর ও অবহেলিত গ্রামীন সড়ক গুলোকে চিহ্নিত করে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে এসে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসাবে রূপান্তরিত করা হবে । এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল হক খান, অধ্যক্ষ মিলন বড়–য়া, মাষ্টার রাহুল বড়–য়া, কোয়েত প্রবাসী কবির আহম্মদ, প্রমতোষ বড়–য়া, বিনয় বড়–য়া,সনজিৎ বড়–য়া, বিরন্দ্র বড়–য়া, অণিল বড়–য়া, সন্তোষ বড়–য়া, অরবিন্ধু বড়–য়া, ডাঃ অমুল্য বিকাশ বড়–য়া, জুনু বড়–য়া, মাষ্টার, জ্ঞানদর্শী বড়–য়া, জিনাংশু বড়–য়া প্রমূখ।
পাঠকের মতামত: