কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ৩০ টি ষ্পটে মাদকের জমজমাট ব্যবসা চলছে। এই ব্যবসার নেপথ্যে মোবাইল কোম্পানী রবির এক সময়ের হেলপার মাহমুদুল হক এসব মাদকের হাটে ইয়াবা বড়ি সরবরাহ করে থাকে। তাকে প্রশাসনে চিনলেও গ্রেফতার করছে না। বর্তমানে উখিয়া মসজিদ মার্কেট এলাকায় বিছমিল্লাহ টেলিকম সেন্টার নামে দোকান খুলে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দোছড়ী গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে মাহমুদুল হক এখন কোটিপতির তালিকায় নাম লেখিয়েছে। এক শ্রেণির পুলিশ কর্মকর্তাদের উৎকোষের বিনিময়ে এ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সে রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এছাড়াও খয়রাতি পাড়া গ্রামের আতা উল্লাহ, লম্বাঘোনার মাহমুদুল করিম খোকা একই সিন্ডিকেটে ইয়াবা ব্যবসা চালালেও তাদেরকে ধরপাকড় করছে না পুলিশ প্রশাসন। সম্প্রতি ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ধাওয়া করে উখিয়া সদর ষ্টেশনে মাহমুদুল করিম খোকার গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করলেও জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়। এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ঘুমধুম পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলার একটি মামলা দায়ের করেছে। জানা গেছে, উখিয়ার থাইংখালী, পালংখালী, রাহমতের বিল, জিমংখালী, ডেইল পাড়া, করইবনিয়া, পূর্ব ডিগলিয়াপালং, উখিয়া সদর, ঘিলাতলী, হাজির পাড়া, খয়রাতি পাড়া, পুকুরিয়া, উত্তর পুকুরিয়া, হলদিয়াপালং, রতœাপালং, সোনার পাড়া, পশ্চিম সোনার পাড়া, ডেইল পাড়া, ঘাটঘর পাড়া এলাকায় ৩০টি স্পটে ইয়াবা ব্যবসা রমরমা ভাবে চললেও পুলিশ নিরবে তাকিয়ে রয়েছে। জানা গেছে, উখিয়া থানা পুলিশের জনৈক কনস্টেবল ক্যাশিয়ার নামধারী এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীর নিকট থেকে সাপ্তাহিক মাশওয়ারা নিয়ে থাকে। যার ফলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে না। এভাবে উখিয়ায় মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে গডফাদাররা। এর ফলে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে ও নাফ নদী দিয়ে ইয়াবা গুলো উখিয়ায় এসে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে জমা হয়। ওখান থেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি বালুখালী গ্রামের ইউপি সদস্য বখতিয়ার আহাম্মদ ৫০ হাজার ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় গ্রেফতার হয়। ঢাকার খিলখেত থানায় এ ব্যাপারে মামলাও হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্ররা দিন দিন অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তাক্ষেপ কামনা করেছেন উখিয়া সচেতন মহল। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জানান, প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। চিহ্নিত হওয়ার পর এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
###################
উখিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মাছ ব্যবসায়ীর উপর হামলা
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::
কক্সবাজারের উখিয়া দারোগা বাজারে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর কতিপয় সাংবাদিককে চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর (২৫) উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর রাতে কতিপয় সাংবাদিক কফিল উদ্দিন আনু ও নাজিম উদ্দিন, টুনু, সাহাব উদ্দিন, রুবেল, টিটু তার নিকট থেকে চাঁদা চাইতে গেলে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ১৮ ই অক্টোবর রাত ১১ টার দিকে মাছ বাজারে চাঁদা দাবী করতে চাইলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় লাঠি, লোহার রড দিয়া এলোপাতাড়ী মারধর করে গুরুত আহত করে। ঐ সময় ভাইকে বাঁচাতে আসলে রাজা উদ্দিন (১৭) কেও মারধর করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করান। সন্ত্রাসীরা আলমগীরের পকেটে থাকা ব্যবসার নগদ ২২ হাজার ৮শ টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মোঃ আলমগীর গত ১৯ অক্টোবর বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাঈন উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: