উখিয়া উপজেলার চিন্থিত ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্য হাজীর পাড়া গ্রামের বদিউর রহমান সিকদারের ছেলে মীর আহমদকে গ্রেফতার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। মীর আহামদ আটক হওযার পর উখিয়ার চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই গা দিয়েছে গ্রেফতার এড়াতে।
উখিয়া থানা সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে থানার এএসআই জাকের হোসনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ঘাটি হিসেবে পরিচিত দক্ষিন ষ্টেশনের ডাক বাংলো এলাকা থেকে তাকে মীর আহামদকে আটক করে। আটককৃত মীর আহম্মদকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মাদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান। যে মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে তার নং- (৩) তারিখঃ ৭/৮/২০১৬ ইং। মীর আহামদকে আটকের খবরে উখিয়ার চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আতংক দেখা দিয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে উখিয়ার চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ী খয়রাতির আতাউল্লা, মাহমুদুল হক, হিজলিয়ার বাবুল মিয়া, সোনার পাড়ার ছমি উদ্দিন, মরিচ্যার মোস্তাক, হাজীরপাড়ার গিয়াস উদ্দিন, জাদিমুরার হেলাল উদ্দিন, বালুখালীর জয়নাল, ইমাম হোসেন, টাইপালং গ্রামের বাসিন্দা উখিয়া ষ্টেশনের জি.এম মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, সে দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ব্যবসার আড়ালে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা করে বর্তমানে বিত্তবান, থাইংখালী গ্রামের মনজুর আলম সে এক সময় রাজ মিস্ত্রির কাজ করত। পরে ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিন বনে গেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি অন্যান্য ইয়াবা গডফাদারা গ্রেফতার আতংকে ভুগছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। তাছাড়া ইয়াবা অধ্যুষিত গ্রাম বালুখালীর অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে গা, ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
#############
ইয়াবা ও ধর্ষন মামলার আসামী প্রকাশ্য ঘুরছে
উখিয়া প্রতিনিধি ::::
কক্সবাজারের টেকনাফ থানা পুলিশের ছত্রছায়ায় হৃীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় একটি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে বাঁধাহীনভাবে চলছে ইয়াবা বানিজ্য। একাধিক মামলার আসামী বার্মাইয়া বেলা কাদেরের ছেলে জহুর আলমের নেতৃত্বেই চলছে এ বানিজ্য। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ধর্ষন মামলা রুজু হয়েছে। যার নং- ৩২ তারিখ-১৭/১০/২০১৬। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা। থানা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এক প্রকার প্রকাশ্যের চলছে তার এ অবৈধ বানিজ্য। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার আশ্রয় প্রশয়ে থেকে চিন্থিত একাধিক মামলার আসামী হয়েও সে বীরদর্পে এলাকায় বিচরন করে যাচ্ছে। তার ভাই নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুর ও নুরুল আলম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালিয়ে নিচ্ছে ইয়াবা বানিজ্য। এতে রাতারাতি বাড়ী গাড়ি সহ অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে জহুর আলম পরিবার।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত চিন্থিত ইয়াবা গড়ফাদার নুর মোহাম্মদের লেবার হিসেবে ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়া জহুর আলম ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের সিটি গেট এলাকা থেকে সাত হাজার ৬০০ ইয়াবা সহ আটক হয়ে চট্রগ্রাম আকবর শাহ থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় ২ বছর জেল খেটেছে। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে পুনরায় ফিরে আসে পুরোনো বানিজ্য। অল্পদিনেই লেদা এলাকায় ইয়াবার পাইকারী গড়ফাদার হিসেবে পরিচিত লাভ করে। ভাই নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুর ও নুরুল আলম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগীতায় প্রভাব বিস্তার করে নিয়ন্ত্রনে নেয় লেদা এলাকার ইয়াবা ব্যবসা। একাধিক মামলা থাকার পরও থানা পুলিশ ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে জহুর আলম লেদা এলাকায় প্রকাশ্যে রমরমা ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গত ১৭ অক্টোবর জহুর আলমের বিরুদ্ধে কিশোরী অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে কিশোরীর ভাই জামাল হোসেন বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত ২ নং আসামী জহুর আলম। কিন্তু প্রকাশ্যে ধর্ষন মামলার আসামী প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশের খাতায় পলাতল।মামলার বাদী জামাল হোসেনের অভিযোগ প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে জহুর আলমসহ অন্যন্য আসামীরা। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনভাবে শংকিত অবস্থায় দিনানিপাত করছি। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ওসি আবদুল মজিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে প্রশাসনের আন্তরিকতার কমতি নেই। ইয়াবা ব্যবসায়ী হউক বা ধর্ষন মামলার আসামী হউক কেউ গ্রেফতার এড়াতে পারবেনা।
###############
উখিয়ায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণ আজ
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::
উখিয়ায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। ৫টি ইউনিয়নের ২২ জন ডিলার ১০ হাজার ৩শ’ ২৯ জন হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি নিজে উপস্থিত থেকে চাল বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা করার কথা রয়েছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৫জন ডিলার ২৩শ’ হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করবেন। এছাড়া রতœাপালং ইউনিয়নের ৩ জন ডিলার ১১শ’ ২৯ জনকে, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৫ জন ডিলার ২৩শ’ জনকে, রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ জন ডিলার ৩ হাজার জনকে ও পালংখালী ইউনিয়নের ৩ জন ডিলার ১৬শ’ জন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজিতে চাল সরবরাহ করবেন। তবে এসব চাল বিতরণ কালে চাল প্রাপ্তির যাবতীয় তথ্য ও স্বাক্ষর রেজিষ্ট্রারে উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করে খাদ্য কর্মকর্তা সুনীল দত্ত মনগড়া তথ্য নয় যে কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতির তথ্য ভিত্তিক প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ তাৎক্ষণিক ভাবে মুঠোফোনে অবহিত করে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যের ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে না পারলেও যথা সময়ে চাল বিতরণ কর্মসূচী শুরু করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য কর্মকর্তা জানান, চাল বিতরণ রেজিষ্ট্রারে চাল প্রাপ্তির টিপসহি নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া সম্ভব বিধায় অধিকাংশ উপকারভোগীর দস্তখত রেজিষ্ট্রারে থাকতে হবে। এমন নির্দেশের প্রতিবাদ করে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ডিলার কাউছার মুহাম্মদ তুহিন বলেন, তার এলাকার ৭০ শতাংশ মহিলা অশিক্ষিত বিধায় তারা টিপসহি দিয়ে চাল গ্রহণ করবে। এনিয়ে কোন সমস্যা সম্মুখিন হতে হবে কিনা জানতে চাইলে খাদ্য কর্মকর্তা জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগে টিপসহির কোন অস্থিত্ব নেই। তাই যতদূর সম্ভব চাল ক্রেতার দস্তখত নিতে হবে, অন্যথায় রেজিষ্ট্রার গ্রহণযোগ্য হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, চাল বিতরণ কর্মসূচী সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: