উখিয়ার মরিচ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র আর ফহাদ ইসলাম অপহরণের ১ মাস ৩ দিন পর পাবনা থেকে উদ্ধার করেছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব অভিযান চালিয়ে গত সোমবার রাতে মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে অপহরকারী চক্রের সদস্যসহ অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কায়কিসলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উখিয়া থানার একদল পুলিশ উদ্ধারকৃত শিশুকে আনার জন্য পাবনায় রওনা দিয়েছেন।
জানা যায়, অপহৃত শিশু আর ফহাদ ইসলামের মা-বাবা দু’জনই মারা যায়। তাদের নাম হচ্ছে পিতা মৃত আবছার উদ্দিন ও মা মৃত রেহেনা বেগম। গ্রামের বাড়ী পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী। মামা জাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম ভাগিনা ফহাদকে লেখাপড়ার জন্য নানার বাড়ী মরিচ্যা গ্রামে নিয়ে আসে।
মরিচ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম জানান, গত ২২সেপ্টেম্বর স্কুলে আসার পথে শিশু শিক্ষার্থী ফহাদ অপহরণের শিকার হয়। বিষয়টি উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করা হয়। অপহৃত শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধারে জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাবের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
পারিবারিক ভাবে জানা যায়, মুন্নী আক্তার নামক এক আন্ত:অপহরকারী চক্রের নারী সদস্য শিশু ফহাদকে অপহরন করে মোটা অংকের মুক্তিপন দাবী করে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, অপহরনকারী দলের সদস্য ওই নারীর ব্যবহৃত মোবাইল ট্রাকিং করে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পাবনা এলাকা থেকে অপহৃত শিশু ফহাদ কে উদ্ধার ও অপহরকারী দলের নারী সদস্য মুন্নী কে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে মরিচ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপহৃত শিশু শিক্ষার্থী ফাহাদকে অবশেষে উদ্ধার করতে সক্ষম হওয়ায় জেলা প্রশাসন, র্যাব ও পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি উখিয়া শাখার সভাপতি মাস্টার এস.এম কামাল উদ্দিন ও সহ-সম্পাদক এবং মরিচ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম। নেতৃবৃন্দরা এক বিবৃতিতে বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর আন্তরিকতা ও সফল সাহসিক অভিযানের কারণে অপহৃত শিশু শিক্ষার্থী অপহরণকারীর কবল থেকে উদ্ধার হয়েছে।
######################
উখিয়ায় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে মাহমুদুল হক চৌধুরী
সম্প্রদায়-সম্প্রতির মডেল হচ্ছে বাংলাদেশ
ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥
উখিয়ার চৌধুরী পাড়া আর্য্য উপাসনা বৌদ্ধ বিহারে মহাসমারোহে দানোত্তম শুভ কঠিন চীরব দান অনুষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উখিয়া ভিক্ষু সমিতির সভাপতি এস,ধর্ম পাল মহাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কঠিন চীবর দান ও ধর্মীয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথির ভাষনে আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন, সম্প্রদায় সম্প্রীতির মডেল হচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল ধর্মের স্ব-স্ব ধর্ম উৎসবমূখর পরিবেশে উৎযাপন করার জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে তা বিশ্বে বিরব। তিনি গৌতম বৌদ্ধের সেই অহিংসা পরম ধর্ম সেই বাণী অনুসরণ করার জন্য বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কে আহ্বান জানান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান জ্ঞাতী ছিলেন, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের। ধর্মদেশনা প্রদান করে রাঙ্গুনিয়া বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজয় রক্ষিত মহাথের, জ্ঞানসেন ভিক্ষু শ্রমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক শ্রীমৎ কুশালায়ন মহাথের, উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির মহা-সচিব শ্রীমৎ জ্যোতিসেন থের, শ্রীমৎ শাসন প্রিয় থের, উদ্বোধনী ভাষন দেন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রজ্ঞামৃত্র বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠতা পরিচালক শ্রীমৎ শিলমিত্র থের। ধর্মীয় সভাটি যৌথ ভাবে পরিচালনা করেন, শ্রীমৎ প্রজ্ঞা সাশন ভিক্ষু বাবু বকুল চন্দ্র বড়–য়া ও রিটন বড়–য়া।
এদিকে ৮০ফুট বিশিষ্ট বুদ্ধমুর্তির ভিত্তি প্রস্তর করেন শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের। অনুষ্ঠানে শত শত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দায়িক-দায়িকা অংশগ্রহণ করেন।
পাঠকের মতামত: