ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ার হাট-বাজার মিয়ানমারের পলিথিনে সয়লাব

ড়ড়ড়ড়ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::::

মিয়ানমারের সীমান্তের বিভিন্ন চোরাই পথে দালালদের মাধমে আসা নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব হয়ে পড়েছে উখিয়ার হাট-বাজার। আইন থাকলেও কার্যকর না থাকায় পলিথিন শপিং ব্যাগ ক্রয়-বিক্রয়, বিতরণ, ব্যবহার এমনকি মজুদ করা আইনগত বিধি নিষেধ থাকলেও বাজারে এর প্রকাশ্য ব্যবহার আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সচেতন মহল।

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, পলিথিন তৈরিতে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয় অতি সুক্ষ্ম ইথিনিল পলিমার, যা একেবারে অপঁচনীল। মিনটেনিক্স ম্যাটেরিয়ালস্ দ্বারা তৈরি করা পলিথিন ব্যাগ সহজে পঁচে না বিধায় অধিকন্তু পানিরোধক বলে এটা জমিতে পড়লে ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে বাঁধা সৃষ্টি করে, যে কারণে দিন দিন জমির উর্বর শক্তি নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া পলিথিন ব্যাগে বহন করা যে কোন ধরনের খাবার বেশিক্ষণ রাখলে, বিষক্রিয়ায় নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তারা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ও মাদকের পাশাপাশি পলিথিন ব্যাগ পাচার প্রতিরোধে সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যদের আরো আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানানো হয়। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে সক্রিয় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন কোটবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবাধ পলিথিন বিক্রির দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করলেও ধারাবাহিকতা না থাকার কারণে পলিথিন ব্যবহার ও বিক্রি কমছে না বলে অভিজ্ঞমহলের ধারণা।

সরেজমিন উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যা, সোনারপাড়া, পালংখালী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শপিং মল থেকে শুরু করে হাট-বাজার, মুদির দোকান, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার ও মুড়ির দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ছড়াছড়ি। মাছ ব্যবসায়ী সুবধন বড়–য়া, অমিয় বড়–য়া জানায়, পলিথিন ব্যাগ না দিলে ক্রেতারা মাছ নিতে চায়না বলে বাধ্য হয়ে পরিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে হচ্ছে। একই কথা বললেন সবজি বিক্রেতা শামশুল আলম ও মুড়ি বিক্রেতা আসমত উল¬াহ। তাদের দাবি পলিথিন ব্যাগের বিকল্প সরকার অন্য কিছু চাহিদামতো সরবরাহ করলে তারা পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করে দিতেন। এ সময় বাজারে আসা বেশ কয়েক জন ক্রেতা সাধারণ জানান, বাজারে পলিথিনের বিকল্প নেটের ব্যাগ এসেছে, যা ব্যবহার অনুপযোগী। যে কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সূত্রমতে সীমান্তের ডেইলপাড়া, চাকবৈঠা, করইবনিয়া, আমতলী সহ বেশ কয়েকটি চোরাইপথে মিয়ানমারের তৈরি নিষিদ্ধ পলিথিন সহ ইয়াবা, মাদক, এমনকি ডিজেল পর্যন্ত পাচার হয়ে আসছে। এসব পণ্য সামগ্রী বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে উখিয়া সদরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মওজুদ, পরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে।

ঘুমধুম বিজিবির সুবেদার মোঃ মুসা জানান, বিজিবির চাইতে পাচারকারীরা অনেক দ্রুত। এরা বিজিবির টহল পার্টির গতিবিধি লক্ষ্য করে সুযোগ বুঝে মালামাল পাচার করে থাকে। তিনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ৬৬০ লিটার ডিজেল উদ্ধার করা হয়েছে। হাট-বাজারে অবাধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মওজুদের তথ্য পাওয়া গেলে সহজে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তিনি বলেন, পলিথিন ব্যবহার প্রতিরোধে স্থানীয় জনসাধারণ আন্তরিক না হলে তা বন্ধ করা সম্ভব হবে না।

 ################

উখিয়ায় ভাংছে সংসার বাড়ছে ডিভোর্স

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::::

বাড়ছে ডিভোর্সের সংখ্যা। আর ডিভোর্সের ক্ষেত্রে এখন এগিয়ে মেয়েরা। এজন্য নারীর অভাধ বিচরণ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতাসহ ক্যারিয়ার,ব্যাক্তি স্বাতন্ত্রাবোধকেই মূল কারণ বলে মনে করছেন সমাজের সচেতন মহল। আবার দীর্ঘদিনের সম্পর্কটিকে অত্যন্ত পুরনো মনে হচ্ছে নারী-পুরুষ উভয়ের কাছেই। যার কারণে বিয়ে বর্হিভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। সুমন ও সানজিদার (ছদ্মনাম) ঘটনাটি এমনই। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু বিয়ের পরই সংসারে দেখা দেয় অশান্তি।বিরোধের সূত্রপাত গর্ভের সন্তান নিয়ে। সন্দেহ বাড়তে থাকে দিনকে দিন। একপর্যায়ে একদিন সুমন রাগের মাথায় সানজিদাকে থাপ্পড় দেয়। এ নিয়ে শুরু হয় দ্বন্ধ। শাশুড়ীর সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয় সানজিদার। সুমনের আচরণ ভাল লাগেনি সানজিদার মায়ের। তখন থেকেই মেয়ে সানজিদাকে উদ্ভুদ্ধ করেন স্বামীকে ডিভোর্স দিতে। সানজিদার মা ভাবেন তার মেয়ে বিএ পড়ছে, কত উজ্জল ভবিষ্যৎ তার। শুধু শুধু বিয়ে নামে সম্পর্কের জালে আটকে থাকার প্রয়োজন কি। আর তাই সুমনের পরিবারের কোন অনুরোধই শুনেননি মা মেয়ে উভয়েই। সুমন অনেক চেষ্টা করেও মন গলাতে পারেননি সানজিদার। অবশেষে একদিন সুমনের কাছে ডিভোর্সের কাগজ এসে পৌঁছে।পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে পরিচয় হয় শাহিনা নামের একটি মেয়ের। শাহিনা উখিয়ার মেয়ে। বিউটি পার্লারে কাজ শেখার জন্য ছিলেন কক্সবাজারে। এখন কোটবাজারের একটি পার্লারে কাজ করেন। এসুবাদে আরিফ নামের এক ছেলের সাথে এক বছর আগে ফোনে পরিচয় হয় শাহিনার। মিষ্টিকণ্ঠী এ মেয়েটিকে বার বার ফোন দিতে থাকে আরিফ। আরিফ একটি দোকানে কাজ করে। অজানা অচেনা এ ছেলেটির সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হতো শাহিনার। আরিফ খুব সহজেই শাহিনার সরল মনে দাগ কাটে। এক পর্যায়ে অচেনা ছেলেটির সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে যায় শাহিনা। আরিফ সহজ সরল মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে রাত কাটায়। এভাবে ধীরে ধীরে তাদের মাঝে বাড়তে থাকে হ্নদ্যতা। এরপর আরিফের পরিবার থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হলে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। আরিফ তার এক বন্ধুর সহায়তায় চট্টগ্রামের একটি দোকানে চাকরি পায়। আরিফ কিছুদিন পর পর বাসায় আসতেন। ভালোই যাচ্ছিল তাদের বৈবাহিক জীবন। কিন্তু বছর ঘুরতেই শাহিনার চোখে পড়ে আরিফের উদাসীন ভাব। ফোন দিলে কথা বলে না। শাহিনা চট্টগ্রামে আসতে চাইলে আরিফ রাজি হয় না। একদিন শাহিনা স্বামীকে সারপ্রাইজ দিতে কোনকিছু না জানিয়েই চট্টগ্রামে চলে আসে। আসার পর নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যান। স্টেশন থেকে সরাসরি চলে যান আরিফের বাসায়। সেখানে যাওয়ার পর এক ভদ্র মহিলা বাসার দরজা খুলে দেন। শাহিনা প্রথমে ভাবেন হয়তো তিনি ভুল ঠিকানায় চলে এসেছেন। আর তাই ঠিকানাটা বারবার মিলিয়ে দেখেন। না ঠিকানা তার ঠিকই আছে। আরিফের নাম বলতেই ভদ্র মহিলা জানান, তিনি আরিফের স্ত্রী। ঘটনার আকস্মিকতায় বাকরুদ্ধ হয়ে যান শাহিনা। দিনটি শুক্রবার হওয়ায় আরিফকেও বাসায় পেয়ে যান। তারপর একে একে জানতে পারেন সবকিছু। আরিফের দ্বিতীয় স্ত্রী তার এক বন্ধুর বোন। বন্ধুত্বের সুবাদে বন্ধুর বোনের সাথে মন দেয়া নেয়ার সম্পর্ক। এক পর্যায়ে এ সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়। আরিফের দ্বিতীয় স্ত্রী সায়মারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার দুই সন্তান ও স্বামীকে রেখে তিনি আরিফকে বিয়ে করেছেন। কথাগুলো জানার পর অনেক কষ্ট হতে থাকে সানজিদার। সে তার মা বাবাকে জানায় বিষয়টি। তারপর পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় ডিভোর্সের। সমাজের সচেতন লোকজন মনে করেন,বিদেশি সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ ও চর্চা করতে গিয়ে মানুষের জীবন দিন দিন হয়ে পড়ছে বিপর্যস্ত। তাই পরবর্তীতে তারা ডিভোর্স নামক কঠিন সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছেন।

 ##################

ইউপি নির্বাচন উখিয়া: হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে হলদিয়াপালং ও রতœাপালং ইউনিয়নের গেজেট প্রকাশ, শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পন্ন

উখিয়া প্রতিনিধি ::::::::

উখিয়ার উপজেলার ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ৫ইউনিয়নের মধ্যে ৩নং হলদিয়াপালং ও ২নংরতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুরি, ব্যালট ছিনতাই, প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারা, কেন্দ্র দখল করে ভোট প্রয়োগ, অতিরিক্ত ব্যালট ঢুকানো সহ নানান অভিযোগ এনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা পৃথক দু’টি রিট আবেদন করেছে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোট বিভাগে। ৩হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের এসএম শামসুল হক বাবুল এবং ২নং রতœাপালং ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল হুদা, বিএনপি’র মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী এবং আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাক্টার গত ১৫জুন এ রিট ২টি করেন। হলদিয়াপালং এর রিট পিটিশন নং-৭৬৬০/১৬এর আদেশে বলা হয় যে, ১৫/০৬/২০১৬ইং তারিখ হতে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে উভয়পক্ষকের উপস্থিতিতে সৃষ্ট ফলাফল জটিলতা নিরসন করে হাইকোর্টে নিকট প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। একই ভাবে রতœাপালং রিট পিটিশন নং-৭৫৮৫/১৬ এর আদেশে বলা হয়, ১৫/০৬/২০১৬ইং তারিখ হতে ১৫কর্ম দিবসের মধ্যে সৃষ্ট নির্বাচনী জটিলতা নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে। বিজ্ঞ বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম, জাফর আহমদ এর দ্বৈত ব্যাঞ্চ থেকে এ পৃথক আদেশ গুলো দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হাইকোর্টের এ আদেশকে অমান্য করে ওই দিন তড়িগড়ি করে গেজেট প্রকাশ করে দিনে দিনে ওই গেজেট কক্সবাজার জেলা প্রশাসক থেকে শুরু বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন। এবং উক্ত গেজেটের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন সরকারী বন্ধের দিন শনিবার শপথ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ আয়োজন সম্পন্ন করেন। সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জারিকৃত আদেশ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গত ১৬জুন দাখিল করা হলেও শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত করেনি।

অথচ খরব নিয়ে দেখা গেছে, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ ধাপের নির্বাচনের শপথতো দুরের কথা ৪র্থ ও ৫ম ধাপের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের অধিকাংশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের শপথ অনুষ্ঠিত এখনো সম্পন্ন করতে পারেনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তাহলে এতো তাড়াহুড়া করে উখিয়ার হলদিয়াপালং ও রতœাপালং ইউনিয়নের গেজেট প্রকাশ পরবর্তী বন্ধের দিন শপথ অনুষ্ঠানের কারণ কি এটি এখন উখিয়ার প্রতিটি মানুষের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে অনেকে মন্তব্য করে বলতে দেখা গেছে ‘ঠেলার নাম বাবাজি’। মন্ত্রী পরিষদ সচিবের হস্তক্ষেপে এসব হচ্ছে বলে জনমূখে শোনা যাচ্ছে। হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ধানের প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী এসএম শামসুল হক বাবুল বলেন, মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের হস্তক্ষেপে দায়িত্বরত প্রশাসন আমার ফলাফল পাল্টিয়ে জনবিচ্ছিন্ন তার ভাই শাহ আলমকে বিজয়ী ঘোষনা করেছে। তিনি বলেন, এটি কখনো হলদিয়াবাসি মেনে নেবে না। মন্ত্রী পরিষদ সচিবের লাল মোবাইল ফোনে হাইকোর্টে আদেশ অমান্য করে গেজেট প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এ ঘোষনাকে ঠেকানো হবে। একই ভাবে রতœাপালং ইউনিয়নের ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, স্থানীয় এমপি এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে ৩ নাম্বারের প্রার্থী খাইরুল আলমকে বিজয় ঘোষনা করেছে।

এদিকে দায়েরকৃত অভিযোগে সুত্রে জানা গেছে, ৪জুন ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসারের সরবরাহ করা ফলাফল বিবরণী অনুযায়ী হলদিয়াপালং ইউনিয়নে মোট ৯টি ভোট কেন্দ্রে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এসএম শামসুল হক বাবুল ৭৮৪৯ ভোট এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহা আলম ৭২১৯ ভোট পান। ৬২৯ ভোট বেশী পেয়ে বিএনপির প্রার্থী এসএম শামসুল হক বাবুল বিজয়ী হওয়ার কথা। কিন্তু জনরায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শাহ আলমকে বিজয়ী ঘোষণা দেয় প্রশাসন। ভোটের ফলাফল তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবকটি কেন্দ্রের ফলাফল ঠিক থাকলেও হলদিয়া পালং পাতাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকার প্রাপ্ত ভোট ৩৬১ এর স্থলে ১০৬৩ দেখানো হয়। এতে ৭৩ ভোটে নৌকার প্রার্থীকে বেশি দেখিয়ে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে রতœাপালং ইউনিয়নের থিমছড়ি সরকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভালুকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রতœাপালং উচ্চ বিদ্যালয় এবং পশ্চিম রতœাপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভোট পাওয়ার সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে প্রতিদ্বন্ধি ৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।

পাঠকের মতামত: