কক্সবাজারের উখিয়ার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট রোহিঙ্গা পারাপারের খালটি ১৬ গডফাদারের নিয়ন্ত্রনে বলে অভিযোগ উঠেছে। তুমব্রু বিজিবি ক্যম্পের ৩শ গজের মাথার খাল দিয়ে এলাকার চিহ্নিত দালালদের মাধ্যমে শত শত অবৈধ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিজিবি জোওয়ানদের রহস্যজনক ভুমিকা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহলরা জানান, এলাকার রোহিঙ্গা পারাপারের দালালরা বিজিবি ক্যাম্পের কথিপয় দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত মরণ নেশা ইয়াবার বড় বড় চালান এদেশে নিয়ে এসে, দেশের উঠতি বয়সী ছাত্র ও যুব সমাজ ধ্বংসের মূখে ঢেলে দিচ্ছে বলে জানা গেছে। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তুমব্রু এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার মোঃ উল্লাহর ছেলে আব্দুলহ, আব্দুল মজিদ, ঝলপাইতলী এলাকার নজির আহম্মদের ছেলে প্রশাসন ম্যানেজকারী নুর হোসেন, একই এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে জহির আলম, শাহ আলম, তুমব্রু ঘোনার পাড়া এলাকার মৃত বাছা মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান, হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল বশর, মৃত আব্দুল আমিনের ছেলে নুরুল আলম, তুমব্রু খিজারী ঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে চিহ্নিত অস্ত্রধারী নুর ছিদ্দিক, তুমব্রু পশ্চিম কুল এলাকার আমির হোসনের ছেলে আনোয়ার, খিজারী ঘোনা এলাকার মৃত ওলা মিয়ার ছেলে আফজাল, আব্দুল জব্বারের ছেলে জয়নাল, পশ্চিম কুল এলাকার আলী আকবরের ছেলে হামিদুল হক, মৃত শহর আলীর ছেলে আয়ুব উদ্দিন, পশ্চিমকুল এলাকার মৃত মোহাম্মদের ছেলে ঢুরা কবির সহ আরো অনেকেই। এ দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত অবৈধ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে জন প্রতি ৫শ টাকা করে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। এ টাকার একটি অংশ প্রশাসনের পকেটে আর বাকী গুলো তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বন্টন করা হয় বলে জানা যায়। ওই ৫০০ টাকায় অবৈধ রোহিঙ্গাদেরকে তাদের সিন্ডিকেটে নিয়োজিত সিএনজি গাড়ী দিয়ে কুতুপালং ক্যাম্প বাজার পর্যন্ত পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব উক্ত দালালদের। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের কাছ থেকে জানতে চাইলে, তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগের চাইতে অনুপ্রবেশ একটু কমছে বলে জানান। এ ব্যাপারে তুমব্রু ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার ছিদ্দিক বলেন, অবৈধ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অতীতে হলেও বর্তমানে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ বলে দাবি করেন তিনি।
##############
উখিয়ার ইনানীতে ঝিনুক বর্তী ট্রাক আটক
মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া ::::
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে ঝিনুক বর্তী ট্রাক আটক করেছে স্থানীয় বন বিভাগ। জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে ইনানী রেঞ্জের ছোয়াংখালী বন বিট কর্মকর্ত মোঃ তহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী উপজেলার উপক’লীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের রূপপতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ঝিনুক বর্তী ঝিনাইদহ চট্রমেট্রো ট ১১Ñ০৪৫৬ নাম্বারের ট্রাক গাড়ীটি আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃত গাড়ীটি বর্তমানে ইনানী রেঞ্জ অফিসের জিম্মায় রয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপকুলীয় ইউনিয়নের ছেংছুড়ী এলাকার পরিবেশ ও বন ধ্বংসকারী আলতাফ হোসেন ও ভুলু দীর্ঘদিন ধরে মেরিনড্রাইভ সড়ক এলাকায় বসবাসকৃত অবৈধ রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে স্থানীয় বন প্রশাসনকে বৃদ্ধঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাদের মাধ্যমে ঝিনুক কুড়াই করে তা ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর এতে কেই প্রতিবাদ করলে তাদের জনসম্মূখে গুলি করে হত্যার হুমকি ধমকি দিয়ে থাকে বলেও জানা যায়। এ ব্যাপারে ছোয়াংখালী বিট কর্মকর্তা মোঃ তহিদুর রহমান ঝিনুক বর্তী ট্রাক আটকের সত্যতা স্বীকার করেন।
পাঠকের মতামত: