নাছির উদ্দীন পিন্টু, ঈদগাঁও প্রতিনিধি
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে গরু ডাকাতির পরিমাণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোন স্থানে গরুর মালিকদের জিম্মি করে গরু ডাকাতি। এদিকে ২২ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ওয়াহেদর পাড়া গ্রাম থেকে ৮ গরু ডাকাতি করে নিয়ে গেলেও অসহায় গরুর মালিকরা রক্ষা করতে পারেনি। সম্প্রতি ডাকাতি হওয়া গরুর মালিকরা হল বর্ণিত এলাকার মৃত কালুর পুত্র মোহাম্মদ আলমের ২টি, ছৈয়দ আলমের পুত্র আলী আকবরের ৩টি, মৃত জবর মুল্লুকের পুত্র জিয়াউর রহমানের ২টি, ড্যাম্পার চালক মৃত আছদ আলীর পুত্র আবদু ছালামের ১টি। ছাবের আহমদ নামের এক ব্যক্তি জানান, গরুগুলো একত্রিত করে স্থানীয় রাইচ মিল এলাকা থেকে ড্যাম্পারে তুলতে দেখা গেছে। সামনে যেতে চাইলে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করতে চাইলে ভয়ে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতরা ৮/১০ জনের চেয়েও বেশি হতে পারে। ২ দিনের ব্যবধানে ইসলামাবাদ ও কালিরছড়া থেকে ১৪ গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সচেতন মহলের দাবী, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাত কিংবা অপহরণকারীরা এখন নির্দিষ্ট গ্রামকে টার্গেট করে গোয়ালঘরে হানা দিচ্ছে। প্রশাসন নির্বিকার থাকায় কিংবা কমিউনিটি পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় এসব পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। রাতের টহল পুলিশ সম্ভাব্য স্থানে হানা না দিলে এ অবস্থা আরো বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গরুর মালিক আলী আকবর জানান, আমার কোন সম্বল নেই। শুধুমাত্র ৩টি গরু ছিল আমার সম্বল। এখন কি নিয়ে বাঁচব বলে সে সংবাদকর্মীদের সাথে কান্নাজড়িত কন্ঠে কথা বলে।
পাঠকের মতামত: