সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও পোকখালীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দিন দুপুরে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে সন্ত্রাসীদল। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ সন্দেহভাজন ৩জনকে আটক করেছে । ১৫ জানুয়ারি সকাল ৯টায় বর্ণিত ইউনিয়নের উত্তর নাইক্যংদিয়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা । আটককৃতরা হল মৃত আব্দু শুক্কুরে পুত্র বাবুল, তৈয়ম গোলালের পুত্র মোহাম্মদ হোসেন ও জসিম নামের এক ব্যক্তি।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে ঘটনার দিন সকাল ৯টার সময় এক পক্ষের লোকজন অপর পক্ষকে হামলা করতে আসে। বিষয়টি এলাকাবাসী আচঁ করতে পেরে জড়ো হয়ে ধাওয়া করলে একপর্যায়ে বাবুলের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে তারা বাড়িটি ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দিলে এসআই আমজাদ আলীর নেতৃত্বে প্রথমে ঘটনাস্থলে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখতে পেয়ে পরবর্তীতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খাইরুজ্জামান ও এসআই দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্ব আরোও একটি পুলিশদল ঐ বাড়িতে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে তারা ঐ বাড়ির চাল থেকে লম্বা বন্দুকের ব্যারেল ও আলমিরার পাশ্ববর্তী স্থান থেকে আরও একটি ইয়ারগান উদ্ধার করে। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার, দফাদারসহ শত শত গ্রামবাসী পুলিশকে সহযোগীতা করে।
এক পক্ষের জহির আহমেদ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান- দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মৃত আব্দু শুক্কুরে পুত্র বাবুলের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ৪/৫ টি অবৈধ বন্দুক নিয়ে তার বাড়িতে হামলা করতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পালিয়ে যায়। এখন পুলিশ উল্টো আমার ভাই জসিমকে আটক করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সংগঠিত ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে বাবুলের দাবী তার বাড়িতে অস্ত্র রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খাইরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বাবুলের বসত বাড়ি থেকে ইয়ারগান ও ব্যারেলটি উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে হয়রানী করা হবে না ঘটনা তদন্ত পুর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় এমইউপি জানান,ঘটনাটি জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি। অপরদিকে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সচেতন কয়েকজন যুবক জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে এ রকম ঘটনা এলাকাবাসীর মাঝে অজানা আতংক বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবী ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পুর্বক আইনের আওতায় আনলে বিপুল পরিমান অস্ত্রের সন্ধান বেরিয়ে আসবে।
পাঠকের মতামত: