মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন গণ শৌচাগারের নির্মাণ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলেও সংশ্লিষ্টরা তা অস্বীকার করছেন। তবে প্রকল্পের কাজ বর্তমানে জোরেসোরে এগিয়ে চলেছে। জানা যায়, নবনির্মিত ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরী ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ক্যাম্পাসে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজারের অর্থায়নে একটি পাবলিক টয়লেট নির্মিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রকল্পের জন্য ১১ লাখ টাকা বরাদ্ধ করেছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে প্রকল্পে ভবন নির্মাণ ও স্যানিটেশনের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে টাইলস স্থাপনের কাজ। প্রায় দেড় মাস আগে পাবলিক লাইব্রেরী ভবনের উত্তর পাশের্^ শৌচাগারের এ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এতে সর্বসাধারণের জন্য ৪টি কমেট থাকবে। তবে এলাকার সচেতনরা ৪টি কমেটের মধ্যে ৩টি সর্বসাধারণের জন্য এবং বাকী ১টি ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের জন্য সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছেন। প্রকল্পের কার্যক্রম ও মান সম্পর্কে এলাকাবাসীদের মধ্য থেকে নানা প্রশ্ন উঠছে। যেমন নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদারের মনিটরিং ও দেখভাল না করা এবং ঠিকাদারের ইচ্ছামত কাজ চালানো। অভিযোগগুলোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কথা হয় এ প্রতিবেদকের। জানতে চাইলে সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দ্বীপশিখা চাকমা জানান, প্রকল্পের মানের বিষয়টি প্রতিনিয়ত দেখভাল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সার্বক্ষনিক গাইড ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদকের সাথেও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শেয়ারিং করা হচ্ছে। তিনি নিজে এসে দীর্ঘক্ষণ সময় দিয়ে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে এ কাজ করছেন জানিয়ে বলেন, সমস্যা দেখা দিলেই ঠিকাদারকে তার অফিসে নিয়ে প্রয়োজনীয় গাইড লাইন দেয়া হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (কক্সবাজার) অনুপম দে জানান, ডিপিএইচই এর তত্ত্বাবধানে উক্ত শৌচাগার নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। যা আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ হতে পারে। তিনি অভিযোগের কথা প্রথম এ রিপোর্টারের কাছ থেকে শুনেছেন জানিয়ে বলেন, প্রকৌশল বিভাগ প্রকল্পের দেখভাল ও মান নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নুরুল আলম (চকরিয়া) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এ প্রকল্পে অনিয়ম অব্যবস্থাপনার তেমন কোন সুযোগ নেই। তিনি সরেজমিন এসে কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জানিয়ে বলেন, প্রকল্প বাবদ এখনো সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোন টাকা ছাড় পাইনি। তবুও কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি অনিয়ম অব্যবস্থাপনা হয়ে থাকলে এলাকার সচেতন লোক হিসাবে দেখভাল ও পরামর্শ দেয়ার অনুরোধ করেন। এদিকে এলাকার সচেতন মহলের পক্ষ থেকে প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সময় তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং কার্যক্রম আরো জোরদারের দাবী জানিয়েছেন ডিপিএইচই এর কাছে। যাতে কাজটি সুষ্ঠু সুন্দর হয়ে জনকল্যান ও জনস্বার্থে ব্যবহৃত হয়।
————————————————–
ঈদগাহ হাইস্কুলে শিক্ষক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত
মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ উপলক্ষে শিক্ষক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব ও উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জান্নাত। এতে নতুন বছরের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকল্পে দায়িত্ব অর্পন, ১লা জানুয়ারী পাঠ্য পুস্তক উৎসব উদযাপন, ব্যবস্থাপনা পরিষদ সভাপতিকে সংবর্ধনা, ভর্তি কার্যক্রম, প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, একাডেমিক সেক্টরের উন্নয়নসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় আলোচনায় অংশ নেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোখতার আহমদ, সিনিয়র শিক্ষক মো. সিরাজুল হক, আবদুল মজিদ খান, মো. জাফর আলম, মোহাম্মদ রশিদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক শফিক আহমদ, মো. আবু তাহের, আবদুচ ছালাম হেলালী, শিক্ষক কাউন্সিল সেক্রেটারী মো. রেজাউল করিম, এস.এম. তারেক, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ ইবরাহীম, মোহাম্মদ আলম, সালমিরা সুলতানা সুমা, আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: