সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ৮ মার্চ :::
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৬ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করে নিজেদের যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা তুলে ধরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে নিজ অবস্থান সুসংহত করে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যস্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দরা কেন্দ্রসহ উর্ধ্বতন নেতাদের দ্বারস্থ হয়ে জোর লবিং চালাচ্ছেন। তাই জনমনে কৌতুহল দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কে পাচ্ছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন তথা নৌকা কার হাতে। উপজেলা জেলাও কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড সূত্রে প্রকাশ, আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন লাভে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা। তাদের আশা তারা নৌকার মাঝি হবেন, ইউনিয়নে ইউনিয়নে তাই সবাই ছুটে বেড়াচ্ছেন । যোগাযোগ করছেন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে ইউনিয়নের ভোটারদের মন জিততে উপস্থিত হচ্ছেন বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, মসজিদ, মন্দির, ও সামাজিক অনুষ্টানে।
জানা যায়, চলতি বছরেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের খবরে কিন্তু কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ৬ ইউনিয়ন- ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী ও বহুল আলোচিত ঈদগাঁও ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সম্প্রতি তাদের এলাকায় এখন থেকে নড়ে চড়ে বসতে দেখা যাচ্ছে। লক্ষ্য শুধু একটাই ইউপি নির্বাচন আসার আগেই প্রচার প্রচারণা আর পরিচিতি লাভ করা। এদিকে ইউপি নির্বাচনে নয়া কৌশল হিসাবে বেছে নিয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। বৃহত্তর এলাকার নানা স্থান ঘুরে গ্রামগঞ্জের সাধারণ লোকজনের সাথে কথা হলে এ চিত্র ফুটে উঠে। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বৃহত্তর এলাকাজুড়ে যে যার যার অবস্থান থেকে ব্যাপক আকারে না পারলেও স্বল্প আকারে হলেও অসহায় মানুষদের পাশে অবস্থান করছে। অনেকে নির্বাচনী কৌশল হিসাবে নিজেদের লোকজন নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকার সর্বপেশার লোকজনদের মাঝে জানান দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহবানও জানান। এমনকি বৃহত্তর এলাকার নানা স্থানে দোকান পাটে চায়ের কাপেও নির্বাচন নিয়ে ঝড় উঠছে। তবে শেষ কথা হচ্ছে কারা পাচ্ছেন দলীয় টিকেট, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রামগঞ্জের ভোটারদের মাঝে। এছাড়াও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নানা কৌশলে কিংবা অনুষ্ঠানসহ সভা-সমাবেশে গিয়ে তাদের পরিচিতি তুলে ধরতে দেখা যায়। প্রার্থীদের শুভাকাঙ্খী, আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় কর্মীরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী মাঠ নিজেদের অনুকূলে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ লক্ষ্যে অনেক প্রার্থী প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রার্থী নিরব থাকলেও সময়ে মুখ খুলতে পারেন এমন আভাস ও পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বৃহত্তর এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে তরুণ প্রজন্মের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ডিজিটাল ব্যানার ও দলীয় প্রধানদের ছবি ও প্রতীকযুক্ত পোস্টার গ্রামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় শোভা পাচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে এক নির্বাচনী পরিবেশ । তবে শেষ পর্যন্ত নবীন-প্রবীণ প্রার্থীদের মাঝে কারাই পাচ্ছে দলীয় মনোনয়ন সেটি এখন দেখার পালা। এছাড়াও লোকমুখে শোভা পাচ্ছে ৬ ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে– কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তরুণ প্রজন্মের প্রিয় মুখ রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, ঈদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার নুরুল আজিম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল জাহান চৌধুরী, সদর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি হুমায়ুন তাহের চৌধুরী হিমু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ছৈয়দ আলম। জালালাবাদ ইউনিয়নে- সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজী, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি ছব্বির আহমদ এমএ. । ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নুর ছিদ্দিক, সদর আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান আজাদ, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হক। চৌফলদন্ডীতে উত্তর থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমানসহ আরো দু’জন। পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও সদর আওয়ামীলীগ নেতা মহিদুল্লাহ মহিদসহ আরো দুয়েকজন। ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর আলম, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরীসহ ২/৩ জনের নাম । এদিকে দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে আর নানামুখী প্রচার-প্রচারণায় প্রবীণদের ন্যায় তরুণাই এগিয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদরা দলীয় প্রার্থী বাছাইকালে তৃণমূলকে প্রাধান্য দেওয়ার আহবান জানান ।
পাঠকের মতামত: