বালুকাময় ও নান্দিক সৌন্দয্যের রাণী উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে অবৈধ ভাবে বীচ বাইক বেপরোয়া চলাচলের কারনে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের নিদের্শ অমান্য করে যত্রতত্র ও নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলছে বীচ বাইক। বীচ বাইকের ধাক্কায় ৫ জন পর্যটক আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছেন।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন স্পট হচ্ছে ইনানী। প্রতিদিন সাগরের নীল জলরাশির ঢেউ ও পাথরের ¯তূপ দেখার জন্য শতশত দেশী-বিদেশী পর্যটক এ সৈকতে ভীড় জমে। কিন্তু বীচ বাইকের যন্ত্রনায় পর্যটকরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ইনানী সৈকতে ২০টির অধিক বীচ বাইক রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়াভাবে সৈকত জুড়ে চলতে থাকে বীচ বাইকগুলো। টুরিষ্ট পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে চললেও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। অতিষ্ট হয়ে পড়েছে পর্যটকরা। ঘটছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা। গত সোমবার ইনানী সৈকতে আজিজুল হকের একটি বীচ বাইক উল্টে ৫জন পর্যটক আহত হয়। আহত পর্যটকরা ঢাকার উত্তরার একটি বে-সরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানা গেছে। এছাড়াও বীচ বাইকের ধাক্কায় রেজাউল করিম ভূট্টো নামক এক ফটোগ্রাফার গুরুতর আহত হয়েছে। তার পা ভেঙ্গে গেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, ইনানী সী-বীচ ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি জনৈক ছৈয়দ হোসেন নামক এক ব্যক্তি সু-কৌশলে প্রশাসন থেকে বীচ বাইক চলাচলের অনুমতি নিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে সৈকত জুড়ে বীচ বাইকগুলো চলাচল করায় পর্যটকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সভাপতি ছৈয়দ হোসেন বলেন, বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি থেকে ১৬টি বীচ বাইক চলাচলের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈনুদ্দীন জানান, ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ভোগান্তির সৃষ্টি হলে বীচ বাইক চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইনানী পর্যটন উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দরা অবৈধ ভাবে চলাচলকারী বীচ বাইক গুলো বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: