অনলাইন ডেস্ক :: বহুল আলোচিত মাদকের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে জানা গেছে। আর সেই লক্ষ্যে তিনি প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
ইতোমধ্যে আত্মসমর্পণের প্রাথমিক শর্ত হিসেবে বদির ৩ ভাই-বোন ও ভাগিনাসহ পরিবারের ২০ জন সদস্য পুলিশ হেফাজতে চলে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির ১৫ অথবা ১৬ তারিখ সাবেক সংসদ বদি ও তার ভাই দেশের অন্যতম শীর্ষ ইয়াবা কারবারি আব্দুর শুক্কুর আত্মসমর্পণ করবেন বলেও সূত্র জানায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এতদিন ধরে বদি তার পরিবারের সদস্যদের ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে এলেও এবার নিজেই দোষ স্বীকার করে ভাই-বোনদের আত্মসমর্পণ করাচ্ছেন। বদির ভাই-বোনসহ স্বজনদের ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকর কথা স্বীকার করে নেওয়ায় এবার তাকেই আত্মসমর্পণ করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বলা হয়েছে। দেশে ইয়াবাপাচার বন্ধের জন্য ইয়াবার ‘গডফাদার’ আব্দুর রহমান বদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা তালিকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারি আব্দুর শুক্কুরকে সরকার আত্মসমর্পণ করতে বলেছে।
সরকারের চাপে পড়ে আত্মসমর্পণ করতেই দুবাইয়ে পালিয়ে যাওয়া আব্দুর শুক্কুর কয়েকদিন আগে দেশে ফিরেছেন বলেও সূত্র জানায়।
জানা গেছে, আত্মসমর্পণের পর বদি যেন দ্রুত মুক্তি পান, সেটিও নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে সরকারের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখাও করেছেন বদি। দ্রুত জামিনের নিশ্চয়তা পেলে চলতি মাসেই আত্মসমর্পণ করবেন বলে তার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়।
তবে, আত্মসর্পণের আগে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েও দিতে চান বদি।
তবে, এখনপর্যন্ত নিজের আত্মসমর্পণের বিষয়টি স্বীকার না করলেও ভাই-বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের আত্মসমর্পণের কথা স্বীকার করেছেন বদি। দুবাই পালিয়ে যাওয়া তার ভাই আব্দুর শুক্কুরও আত্মসমর্পণ করতে দেশে ফিরে এসেছেন বলে বদি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সরকারের তৈরি করা ইয়াবা কারবারিদের তালিকায় আমার ভাই-বোন, ভাগিনাসহ স্বজনদের নাম রয়েছে, তাই আমি নিজেই তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন বলেন, শর্ত সাপেক্ষে ইয়াবা কারবারিদের সরকার স্বাভাবিক জীবনে সুযোগ দিতে চায়। এরইমধ্যে অনেক শীর্ষ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে। এরমধ্যে টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির আত্মীয়-স্বজনও আছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার আরও বলেন, তালিকাভুক্ত বা তালিকার বাইরের যত ইয়াবা কারবারি আছে, তাদের সবাইকে আত্মসমর্পণের আহবান জানানো হয়েছে।
যারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে, তাদের শর্তসাপেক্ষে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: